কলকাতা : সিবিআই চাইলে এসএসকেএম-এ এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে । নিজাম প্যালেসে গিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের এই কথাই জানিয়ে এলেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা । সিবিআইকে চিঠি দিয়ে এ কথা জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল নিজেও ।
দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর কাছে আসেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সঞ্জীবকুমার দাঁ এবং অনির্বাণ ঠাকুরতা । অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও সময় চেয়েছেন তাঁরা ৷ কারণ তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক । এসএসকেএমে চিকিৎসকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তার পর অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা নথিপত্র নিয়ে সিবিআই দফতরে পৌঁছন । তাঁরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, সংস্থা তদন্তের নামে অনুব্রত মণ্ডলকে নাজেহাল করছে ৷ গরুপাচার কাণ্ডে আজ নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির । কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তিনি এসএসকেএমের উডর্বান ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন । হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক (Anubrata Lawyers at Nizam Palace ) ।
অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা জানান, তাঁদের মক্কেল গোটা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন । তিনি অসুস্থ । তদন্তে সাহায্য করার জন্য সব রকম সদিচ্ছা তাঁর আছে । তাই গতকালই কলকাতায় চলে আসেন । আজ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে হন । এর পরই তাঁরা জানান, অনুব্রত মণ্ডল সম্পূর্ণ নির্দোষ । এক জন অসুস্থকে যদি সিবিআই জেরা করতে চায়, তাহলে হাসপাতালে এসে করতেই পারে ।
বুধবার পঞ্চমবারের জন্য অনুব্রতকে সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছিল। ২০২১ সাল থেকে এর আগে তাঁকে চারবার তলব করে সিবিআই। কিন্তু কখনও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে, আবার কখনও দলীয় কাজে ব্যস্ততার অজুহাতে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। গ্রেফতারির আশঙ্কায় তিনি হাইকোর্টের কাছে রক্ষাকবচও চান। প্রথমে আদালত তাঁকে সেই রক্ষাকবচ দেয়। পরে হাইকোর্টের একক বেঞ্চ রক্ষাকবচ তুলে নেয়। অনুব্রত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন। ডিভিশন বেঞ্চও আবেদন খারিজ করে দেয়। তারপরই সিবিআই গত ২ মার্চ নোটিস পাঠিয়ে অনুব্রতকে বুধবার হাজিরার নির্দেশ দেয়।
মঙ্গলবার রাতেই অনুব্রত বোলপুর থেকে কলকাতার চিনার পার্কে তাঁর ফ্ল্যাটে চলে আসেন। তখন থেকেই নানা মহলে জল্পনা চলে, তাহলে কি অবশেষে তৃণমূল নেতা সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবেন? সকাল থেকেই নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে ছিল সাজ সাজ রব। বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ চিনার পার্ক থেকে তাঁর গাড়ি বেরিয়ে যায়। কোথায় যাচ্ছেন, তা নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। অবশেষে তাঁর গাড়ি সাড়ে ১১টা নাগাদ পৌঁছয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তিনি গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই উডবার্ন ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন। তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন, জানতে চাওয়া হলে একটি কথাও বলেননি অনুব্রত।
আরও পড়ুন : Anubrata Mandal : গাড়ির স্টিয়ারিং ঘুরল কী ভাবে? কোন পথে ২১১-নম্বর কেবিনে এলেন কেষ্ট