কলকাতা: আমতার আনিস খান মৃত্যুর ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই৷ বুধবার রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্যের কথাতেও তা স্পষ্ট৷ ইতিমধ্যেই এক হোমগার্ড ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ডিজি বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনায় পুলিসের যোগ রয়েছে৷ এদিন মনোজ মালব্যর সাংবাদিক বৈঠকে যে বিষয়গুলি স্পষ্ট হল, তা ঠিক এরকম৷
প্রথমত, সেই শুক্রবার রাতে পুলিসের ভূমিকা সন্দেহের উর্ধ্বে নয়৷ কয়েকজন পুলিককর্মী সেদিন আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন৷
দ্বিতীয়ত, তবে আজ গ্রেফতার হওয়া হোমগার্ড ও সিভিক ভলান্টিয়ার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা, তা স্পষ্ট করেননি ডিজি৷
তৃতীয়ত, বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে৷
চতুর্থত, ফের একবার ময়নাতদন্ত করা দরকার আনিসের৷ তার অনুমতি দিচ্ছে না তাঁর পরিবার৷ স্বভাবতই থমকে যাচ্ছে তদন্ত৷
পঞ্চমত, ছাত্রনেতা আনিস খানের মোবাইল এখনও পুলিস হাতে পায়নি৷ জিডির দাবি, ফোনটি হাতে পেলে তদন্তের অনেকটাই জট খুলে যাবে৷
ষষ্ঠত, অমিত মালব্যের দাবি, পনেরো দিনের মধ্যে আনিস খানের মৃত্যু রহস্যের পর্দা ফাঁস করা হবেই৷ সে কাজ দায়িত্ব সহকারে পালন করবে রাজ্য পুলিস৷
সপ্তমত, ৩০২ ধারায় খুনের মামলাকে সামনে রেখেই শুরু হয়েছে তদন্ত৷ অর্থাৎ, সিট গঠন হওয়ার আগেই কোথাও যেন সন্দেহে তৈরি হয়েছিল রাজ্য পুলিসের মনে৷
আরও পড়ুন- Anis Khan: আনিস মৃত্যু রহস্যের জট প্রায় খুলে ফেলেছে পুলিস, পিছনে কারা দু-একদিনে জানাবে সিট
আনিস খান৷ নামটা যেন সব থেকে চর্চিত বিষয়৷ খুন না নিছক মৃত্যু তাই নিয়ে শুরু হয় দড়ি টানাটানি৷ ওঠে আমতা পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন৷ গঠন করা হয় সিট৷ তাদের তদন্তে প্রথম থেকেই একটি প্রশ্ন উঠতে থাকে৷ আনিসের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের সুপারিশ জানায় সিট৷ যদিও অনুমতি দেয়নি আনিসের পরিবার৷ এখানেই বাধা পাওয়া শুরু৷ কিছু রাজনৈতিক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে৷ সিবিআই ছাড়া কোনও কিছুতে তারা সন্তুষ্ট নয় বলে দাবি ওঠে৷
এ দিন জিডি বুঝিয়ে দিয়েছেন, তদন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছে৷ আনিসের মোবাইল লোকেশন এবং গ্রেফতার হওয়া দু’জনের মোবাইল লোকেশনের মিল পাওয়া গিয়েছে৷ তারপরই পদক্ষেপ৷ এখন আনিসের মোবাইল হাতে পেলে রহস্যের জট আরও খুলবে৷
আরও পড়ুন- Anis Khan Probe: গ্রেফতার ২, আনিস-তদন্তে বাধা দেওয়ায় অপরাধ, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর
ডিজি আরও বুঝিয়ে দিয়েছেন, অনেকটাই রহস্যমুক্ত হতে শুরু করেছে আনিস হত্যা ঘটনা৷ যদিও তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছুই ঘোষণা করছে না পুলিস৷ কারা যুক্ত, কতটা অভিযোগ, কীভাবে এগোচ্ছে তদন্ত, সন্দেহ কাদের দিকে- এমন হাজারও প্রশ্নকে সামনে রেখেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে চলেছে সিট৷ যার কিছু উত্তর মিলেছে, কিছু শীঘ্রই মিলবে৷ পনেরো দিনের মধ্যে৷ কথা দিয়েছেন ডিজি৷