কোটা: শুভ জন্মদিন বাবা, সুইসাইড নোটে এই কথা লিখে আত্মহত্যা (Suicide) করলেন ডাক্তারিতে (Medical) প্রবেশিকা (Entrance Exam) পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া এক ছাত্র। ওই ছাত্র মনজ্যোত সিং (Manjyot Singh) বন্ধুদের বলেছিলেন তিনি বড় কোনও ঘটনা ঘটাতে পারেন। কিন্তু কেউ তাঁকে গুরুত্ব সহকারে নেয়নি। এখন তা নিয়ে আক্ষেপ অন্য পড়ুয়াদের (Student)। সুইসাইড নোটে বাবাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে গিয়েছেন। এবং বলেছেন কেউ তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়।
যেটা জানা যাচ্ছে ছাত্রদের আত্মহত্যার বিষয়ে কোনও কথা উঠলে মনজ্যোত প্রায়ই বন্ধুদের বলতেন, তিনি ওই লাইনে রয়েছেন। আরেকটি নোটে মনজ্যোত লিখেছেন, দুঃখিত। কেই তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়। আমি যা করেছি নিজের ইচ্ছায় করেছি। সুতরাং আমার বন্ধুদের ও বাবা মায়েদের বিরক্ত কোরো না। তাঁর বন্ধুরা পুলিশকে জানিয়েছে, মনজ্যোত খুব মেধাবী ছাত্র ছিলেন। এবং সবসময় মজা নিয়ে থাকতে ভালোবাসতেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। কোচিংয়ে রুটিন টেস্টেও খুব ভালো ফল করেছেন তিনি। মনজ্যোত সিং উত্তরপ্রদেশের রামপুরের বাসিন্দা। মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এপ্রিল মাসে তিনি কোটায় এসেছিলেন। নিটের প্রস্তুতির জন্য কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন। স্কুলের তিন জন বন্ধুর সঙ্গেই কোটায় এসেছিলেন মনজ্যোত সিং। একই হস্টেলে আলাদা আলাদা ঘরে থাকতেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর হস্টেলের ঘরে ফ্যান থেকে দেহ ঝুলতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: পুরুলিয়া শহরে টোটোর নৈরাজ্য রুখতে পরিবহণ দফতরের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল
প্রাথমিকভাবে এটিকে সুইসাইডের ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে হবে। এবছরে মনজ্যোত ১৯ তম ছাত্র যার কোটায় সুইসাইডে মৃত্যু হল। প্রায় ২ লাখের বেশি ছাত্র ছাত্রী মেডিক্যালে প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য কোটাতে কোচিং নিচ্ছেন। গত বছরও কম করে কোটাতে ১৫টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। কোটাতে ফ্যানে স্প্রিং ব্যবহার করার দাবি উঠছে।