কলকাতা: আলিয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের বিতর্ক (Aliah University Controversy) নতুন কিছু নয়। এর আগেও ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে আলিয়া। উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। কলকাতা টিভি ডিজিটালের হাতে এসে পৌঁছেছে ২০২১ সালের জুলাই মাসে সার্কুলার (Aliah University) হওয়া সরকারের একটি অর্ডারের কপি। ২৯ জুলাই ২০২১ তারিখে নবান্ন থেকে একটি অর্ডার দেওয়া হয় (No-1125 MD/O/A-3/2021)। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অব্যবস্থা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় ওই সার্কুলারে। কাকতালীয় হলেও এই নির্দেশের কয়েকমাস পরেই নভেম্বর মাসে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলি (Aliah University VC Md Ali)।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন রকম আর্থিক-প্রশাসনিক এবং পড়াশোনা সংক্রান্ত অভিযোগ-অব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়। যে কমিটিতে ছিলেন আবিদ হোসেন(মাদ্রাসা এডুকেশনের ডিরেক্টরেট), মৃণ্ময় বিশ্বাস (সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও কল্যাণ দফতরের ডিরেক্টর), অর্থবিভাগের সহকারী সচিব দুর্গাপ্রসাদ মণ্ডল ও অভ্যন্তরীণ অডিট অফিসার সমীরণ রায়।
ইস্তফা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া উপাচার্যের চিঠি।
নবান্নের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্টার-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তাদেরও নির্দেশিকার কপি দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ফাইল,তথ্য,রেকর্ড প্রয়োজনে তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
উপাচার্যকে পাঠানো মাদ্রাসা এডেুকেশনের চিঠি।
এই ঘটনার তিন মাস পরেই উপচার্যের পদ থেকে অব্যহতি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন মহম্মদ আলি। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে যেন উপচার্যের পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।’ মুখ্যমন্ত্রী অবশ্যই সরাসরি তাঁর এই চিঠির জবাব দেননি।
আরও পড়ুন-Galsi Murder: কুড়ুল বিদ্ধ যুবকের গ্রামে পৌঁছতেই গলসীতে গাড়ি-বাড়িতে আগুন
আলিয়ার ‘অব্যবস্থার’ তদন্তে নবান্নের নির্দেশ।
কলকাতা টিভি ডিজিটালের হাতে এসেছে সরকারের সংখ্যালঘু এবং মাদ্রাসা দফতরের একটি চিঠি। চিঠিটি লিখেছেন, দফতরের বিশেষ সচিব। চিঠিটির প্রাপক আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলি। চিঠিতে বলা হয়, ইস্তফা দিতে চেয়ে উপাচার্যের যে অনুরোধ তা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি যেন নিয়মকানুন মেনে আনুষ্ঠানিত ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দেন। কিন্তু গত কয়েকদিনের ঘটনা বলছে, মহম্মদ আলি সেই আনুষ্ঠানিক ইস্তফাপত্র পাঠাননি। যদি পাঠাতেন, তাহলে হয়তো তাঁকে ঘিরে এই বিতর্ক আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দানা বাঁধত না।