মুম্বই: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) সদলবলে অজিত পাওয়ারের (Ajit Power) বিজেপি শিবসেনা সরকারের যোগ দেওয়াতে রাজ্যে ট্রিপল ইঞ্জিনের (Triple Engine Government) সরকার হল বলে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde)। তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রের ভালোর জন্য অজিত পাওয়ার ও তাঁর অন্য নেতাদের স্বাগত জানাই। অজিত পাওয়ারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। অজিত পাওয়ার যে বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) হিসেবে স্বচ্ছন্দ নন তা তাঁর সম্প্রতি এক বক্তব্যেই পরিষ্কার হয়। এর আগে গত বুধবার অজিত পাওয়ার একটি পার্টি অনুষ্ঠানে বলেন, আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে কাজ করতে ইচ্ছুক ছিলাম না। কিন্তু, পার্টির বিধায়কদের (MLA) কথায় এই দায়িত্ব নিতে সম্মত হই। আমাকে পার্টির যে কোনও দায়িত্ব দিলে আমি তা করতে প্রস্তুত। এই বিষয়ে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার তাঁকে বলেছেন, তাঁর কাছে জনগণের সমর্থন রয়েছে। আবার নতুন করে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে পুনরায় সব তৈরি করা হবে। মানুষ এই ধরনের খেলা বেশি দিন সহ্য করবে না।
শনিবার অজিত পাওয়ার মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী (Deputy Chief Minister) হিসেবে দায়িত্ব নিলেন। বিজেপির দেবেন্দ্র ফডনবীশের সঙ্গে তিনি ওই দায়িত্ব সামলাবেন। অজিত পাওয়ার বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিবসেনা ও বিজেপি সরকারে যোগ দিয়েছি। বেশিরভাগ বিধায়ক ও সমগ্র দল চেয়েছিল সরকারের সঙ্গে থাকতে। পরবর্তীতে ক্যাবিনেট আরও বাড়ানো হবে। নরেন্দ্র মোদি সরকার গত ৯ বছরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। যে কারণে আমরা সমর্থন করলাম। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী দীপক কেসরকার বলেন, অজিত পাওয়ার ভালো প্রশাসক। তাঁকে আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে বলেছিলাম। আজ তিনি যোগ দিলেন। এর ফলে মহারাষ্ট্র সরকার ভালো কাজ করবে।
গত সপ্তাহে এনসিপির (NCP) জাতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে উঠে আসে সুপ্রিয়া সুলের নাম। তখন থেকে অনেকে বলতে শুরু করেছিলেন গোঁসা হয়েছে অজিত পাওয়ারের। তা যে বিদ্রোহে রূপান্তরিত হবে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউ। ৫৩ এনসিপি বিধায়কদের মধ্যে ৪৩ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে অজিত পাওয়ারের সঙ্গে। যার ফলে শারদ পাওয়ারের ২৪ বছরের দল কার্যত অস্তিত্বের সঙ্কটে দাঁড়াল। এর আগে একনাথ শিন্ডে ৪০ বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে শিবসেনা ছেড়েছিল। এরপর অজিত পাওয়ার এতো বড় সংখ্যক বিধায়কদের নিয়ে দল ছাড়ল।