কোভিডের তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। দেশে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে। শনিবার এমনই সতর্কবার্তা শোনালেন দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস’(এইমস)-এর প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, করোনার তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। অতি দ্রুত টিকাকরণ সম্পন্ন হলে তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করা কিছুটা সহজ হবে।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ডেল্টা প্লাস নামে করোনার এক নতুন স্ট্রেন। দক্ষিণ আমেরিকায় এই নতুন স্ট্রেনের উৎপত্তি। এই স্ট্রেন আলফার চেয়ে অনেক বেশি মারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। সেকারণেই উদ্বেগ বাড়ছে বিশেষজ্ঞদের। লকডাউনের পাশপাশি ‘আনলক’পর্বে আরও সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, দ্বিতীয় ঢেউ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগোতে হবে।
তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় দ্রুত টিকাকরণ শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ভারতে মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশ কোভিড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়েছেন। ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের ১০৮ কোটি মানুষ টিকা পাবেন কি না, তা নিয়ে সন্দিহান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অবিলম্বে টিকাকরণের গতি না-বাড়ালে আগামীতে অনেকেরই সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রণদীপ।
তৃতীয় ঢেউ আসার আগে সংক্রমণের হটস্পটগুলি চিহ্নিত করার কথাও বলেছেন এইমস প্রধান। কোভিড পরীক্ষা বৃদ্ধি ও চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরামর্শও দিয়েছেন গুলেরিয়া। কিছু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে জোর দিয়েছে। এ দিকে, দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠেছে।
তাই আগে থেকেই তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নামতে চাইছে কেন্দ্র। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা করোনাবিধি যথাযথ পালনের বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়েছেন। ‘টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট-ভ্যাকসিনেশন’-এর ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। দেশে এখনও পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন দেশের ২৭ কোটি ২৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৮৩ জন মানুষ।