কলকাতা: অভিষেকেই আস্থা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব ফিরে পেলেন ‘নবীন’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)৷ একই সঙ্গে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল তিন প্রবীণ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুব্রত বক্সী এবং যশবন্ত সিনহাকে৷ অর্থাৎ আক্ষরিক অর্থেই নবীন ও প্রবীণের সমন্বয় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে পথ চলার বার্তা বারবার কালীঘাট থেকে দেওয়া হয়েছিল তারই বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হল৷ মমতা এবং জাতীয় কর্মসমিতির মধ্যে সমন্বয়ের কাজটি করবেন ফিরহাদ হাকিম৷
এদিনের কর্মসমিতির বৈঠকে জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে সুখেন্দুশেখর রায়কে তুলে আনা হল৷ এতদিন যে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ একই সঙ্গে জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করবেন মহুয়া মৈত্র এবং কাকলি ঘোষদস্তিদার৷ তিন মুখপাত্রের ঘোষণাই বুঝিয়ে দিল ভিন রাজ্যে তৃণমূলের পথ চলার ছবিটা৷ কারণ, সুখেন্দুশেখর রায়, মহুয়া মৈত্র এবং কাকলি ঘোষদস্তিদার তিনজনই বাংলার পাশাপাশি হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষাতে অত্যন্ত স্বচ্ছন্দ৷ পাশাপাশি নীতি নির্ধারক কমিটি তৈরি করা হল এ দিন । কমিটিতে আছেন যশবন্ত সিনহা, অমিত মিত্র ।
রাজ্যসভার মুখপাত্র করা হল সুখেন্দুশেখর রায়কে৷ লোকসভার দায়িত্ব দেওয়া হল কাকলি ঘোষদস্তিদারকে৷ লোকসভায় যে পদটি পালন করে এসেছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একই সঙ্গে কোষাধ্যক্ষ হিসাবে আনা হল অরূপ বিশ্বাসকে৷ শুক্রবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলের এই দায়িত্ববণ্টন ছাড়া আসানসোল, বিধাননগর এবং চন্দননগরের মেয়রের নামও ঘোষণা করা হয়৷
আরও পড়ুন: Baruipur Promoter Murder: দামি বাইকে চড়ে ছাগল চোর! বয়ানে অসঙ্গতি, প্রোমোটার খুনে রহস্য-জালে পুলিস