কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ‘অগ্নিপথে’র ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে দেশ। প্রকল্পের বিরোধিতা ও বাতিলের দাবিতে সোমবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল বামসহ বেশ কিছু সংগঠন। পশ্চিমবঙ্গে বনধের কোনও প্রভাব না-পড়লেও দেশজুড়ে এদিন পুলিসি সতর্কতা ছিল নজিরবিহীন। রাজধানী দিল্লিকে দুর্গনগরীতে পরিণত করেছিল প্রশাসন। ভারত বনধের প্রভাবে কী কী ঘটল সারাদিন ধরে—
∙ ভারত বনধের ডাক দেওয়ায় এদিন ৫০০টি ট্রেন বাতিল করা হয়। কারণ এই আন্দোলনের জেরে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
∙ পুলিসি চেকিংয়ের জেরে দিল্লির একাংশ জুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। সকাল থেকে পুলিস দিল্লির লাগোয়া সীমান্ত সড়কগুলিতে খানাতল্লাশি চালায়। যার ফলে দিল্লি-নয়ডা উড়ালপুল এবং দিল্লি-গুরগাঁও এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়ঙ্কর যানজট হয়।
∙ যন্তরমন্তরে কংগ্রেস এদিনও সত্যাগ্রহে বসে। কনট প্লেসের কাছে শিবাজি ব্রিজ স্টেশনে কিছু কংগ্রেস সমর্থক ট্রেন অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিস তাদের আটক করে।
ভারত বনধের জেরে যানজট দিল্লিতে
∙ হরিয়ানায় ফতেবাদে কিছু সশস্ত্র বিক্ষোভকারী লালবাত্তিচকে অবরোধ করে। একইভাবে রোহতকেও বিক্ষোভকারীরা অবরোধ করে।
∙ কেরালা, তেলঙ্গনা, রাজস্থানে অশান্তি এড়াতে বিপুল পরিমাণে পুলিস মোতায়েন করা হয়। ফরিদাবাদ ও নয়ডায় একসঙ্গে ৪ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
∙ উত্তরপ্রদেশে পুলিস আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। অন্যদিকে, পঞ্জাব পুলিসকে সমাজমাধ্যমগুলির উপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমেই গন্ডগোল দ্রুত ছড়াচ্ছে।
∙ অশান্তি বাধতে পারে এমন সব জায়গায় পুলিস, কমব্যাট ফোর্স নামিয়েছে বিহার। কারণ এই জেলাতেই হিংসাত্মক ঘটনা বেশি ঘটছে। রাজ্যের ২০টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। গন্ডগোলের আশঙ্কায় ঝাড়খণ্ডের সমস্ত বিদ্যালয়ে এদিন ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।