জলপাইগুড়ি: দুদিনের সাময়িক বিরতির পর আজ, রবিবার উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি থেকে ফের শুরু হচ্ছে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা। আর এক বিশেষ পরিস্থিতিতে রাহুলের এই যাত্রা শুরু হতে চলেছে, যখন বিহারে মহাগাঁটবন্ধনের নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতা হয়ে গেল বলা যায়।
উল্লেখ্য, রাহুল এদিন দুপুর ২টো নাগাদ যাত্রা শুরু করবেন। তার আগে দিল্লি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সোজা জলপাইগুড়ি পৌঁছে যাবেন। তারপর একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন। উত্তর দিনাজপুরের সোনাপুরে এদিনের মতো যাত্রা শেষ হবে। রাহুল গান্ধীর যাত্রা যাতে নির্বিঘ্নে পশ্চিমবঙ্গের মাটি অতিক্রম করে, তার জন্য কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে একদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে আবেদন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা নীতীশ কুমারের
বিহারে নীতীশের জেডিইউ, লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি এবং কংগ্রেস ও বামশক্তিগুলি মিলে মহাগাঁটবন্ধনের সরকার চলছিল। বছর দেড়েক আগেই এনডিএ-র শরিক বিজেপির সঙ্গে সরকার চালাচ্ছিলেন নীতীশ। রাতারাতি ভোল বদল করে তেজস্বী যাদবকে উপমুখ্যমন্ত্রী করে নয়া সরকার গঠন করেছিলেন নীতীশ।
এবারেও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন দেওয়ার পর থেকেই কেন্দ্রের সঙ্গে গা মাখামাখি শুরু হয়। পাশাপাশি দূরত্ব বাড়তে থাকে আরজেডির সঙ্গে। মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই পুরো আবহাওয়া পালটে দিয়ে নীতীশ কুমার আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপির ফিরে আসায় প্রায় সবুজ পতাকা নেড়ে দিলেন।
কংগ্রেস নীতীশ কুমারের এই ডিগবাজি খাওয়াকে তীব্র নিন্দা করেছে। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক এক্সবার্তায় লিখেছেন, নীতীশ কুমার যে গতিতে রং বদল করছেন, তাতে গিরগিটিকে হার মানিয়ে দেবেন তিনি। বিহারের মানুষ এইসব আগ মার্কা বেইমানদের ক্ষমা করবে না। আর যাদের তালে তিনি নাচছেন, তাদেরও ক্ষমা করবে না বিহারের মানুষ।
बार-बार राजनीतिक साझेदार बदलने वाले नीतीश कुमार रंग बदलने में गिरगिटों को कड़ी टक्कर दे रहे हैं।
इस विश्वासघात के विशेषज्ञ और उन्हें इशारों पर नचाने वालों को बिहार की जनता माफ़ नहीं करेगी।
बिलकुल साफ़ है की भारत जोड़ो न्याय यात्रा से प्रधानमंत्री और भाजपा घबराए हुए हैं और उससे… https://t.co/v47tQ8ykaw
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) January 28, 2024
এটা পরিষ্কার যে, বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রার সাফল্যে ভয় পেয়ে গিয়েছেন। সে কারণেই রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা থেকে মানুষের চোখ ঘোরাতে এইসব রাজনৈতিক নৌটঙ্কির আয়োজন করা হয়েছে।
অন্য খবর দেখুন