ইসলামাবাদ: মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রাতভর হেফাজতে থাকার পর বুধবার ইসলামাবাদ পুলিশ লাইন সদর দফতর এইচ-১১/১-এর পুলিশ লাইন গেস্ট হাউসে নিয়ে আসা হয় ইমরানকে। সেখানই বসেছে আদালত। উল্লেখ্য, প্রথমে কোর্ট কমপ্লেক্স, ইসলামাবাদ এবং জুডিশিয়াল কমপ্লেক্স জি ১১/৪, ইসলামাবাদে শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
এদিকে ইমরানের গ্রেফতারির পরই বিক্ষোভে শামিল হন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর সমর্থকেরা। শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের বাসভবন ঘিরে ফেলেন তারা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিভিন্ন এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। আবার অনেক জায়গায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয় রেঞ্জার্সও। এমনকী, সেনার বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ চলে। লাহোর, ফয়সলাবাদে সেনা কমান্ডারের বাসভবনেও হামলা চালানো হয়। রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর সদর দফতরেও রাতে ঢুকে পড়ে উন্মত্ত জনতা। প্রচুর মহিলাকেও ওই জমায়েতে দেখা গিয়েছে। তারা গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখায়। একাধিক এলাকায় ইমরান খানের দলের সমর্থকরা সরকারি সম্পত্তিতে আগুন ধরিয়ে দেয় । তবে সংযত ছিল জওয়ানরা। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত দেশজুড়ে এই বিক্ষোভের মাঝে প্রাণ হারিয়েছেন তিন যুবক, আহত ২০ জনেরও বেশি। অশান্তি যাতে না ছড়িয়ে পড়ে সেই জন্য ইসলামাবাদ-সহ পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। জারি করা হয়েছে কারফিউ।
যদিও দলের কর্মী-সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের নির্দেশ দেন পিটিআই নেতা তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ। তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। রাতের পর বুধবার সকাল থেকে ফের বিক্ষোভে নেমেছেন সমর্থকেরা। ‘ক্যাপ্টেন’-এর মুক্তির দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে ইমরানের গ্রেফতারি বেআইনি বলে দাবি করেছিল পিটিআই। তবে আদালত জানিয়ে দেয়, সেই গ্রেফতারি আইনি। সূত্রের খবর, আপাতত ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর হেফাজতে থাকবেন ইমরান। দুর্নীতি-সহ ১২১টি মামলায় ইমরানকে জেরা করা হবে।