কাবুল: আফগানিস্তানে (Afghanistan) চলছে শৈত্যপ্রবাহ। এই শৈত্যপ্রবাহ ও হাড়হিম করা ঠান্ডার দাপটে ইতিমধ্যে গোটা দেশে দেড়শোরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রচুর গবাদিপশু প্রাণ হারিয়েছে। আফগানিস্তান প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠান্ডায় (Cold) কমপক্ষে ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। আর এই অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতেও। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ঘরের ভিতর গরম রাখার জ্বালানি জোগাড় করতেও খিমশিম খেতে হচ্ছে আফগানবাসীকে।
একজন কর্মকর্তা বলেন, এই ঠান্ডায় চরম দুর্দশার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশ জুড়ে। দারিদ্রপীড়িত দেশটিতে দুর্দশার ছবি উঠে এসেছে। আফগানিস্তানে ১০ জানুয়ারি থেকে -৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (temperatures) কোঠায় তাপমাত্রায় রয়েছে। ব্যাপক তুষারপাত, ঘরবাড়িহীন, খাবার ও পানীয় জলের অভাব এবং নিয়মিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদে্র। সব মিলিয়ে তাঁদের চরম সংকটে দিনযাপন করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Putin Threatened Boris Johnson: ব্রিটেনেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিয়েছিলেন পুতিন, দাবি বরিসের
ত্রাণ বণ্টনকারী সংস্থা আগেই সতর্ক করে জানিয়েছিল শৈত্যপ্রবাহের কথা। শৈত্যপ্রবাহের জেরে আফগানিস্তানের ৩৮ লক্ষ মানূষ চরম খাদ্যের অভাবে ভুগতে পারে। যার মধ্যে সেখানে ৪ লক্ষ শিশু অপুষ্টির শিকার হবে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ১০০টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রাস্ত হয়েছে এবং ৮০ হাজারের বেশি গবাদি পশু প্রাণ হারিয়েছে।
আফগান প্রশাসনের তরফে এক কর্তা ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, আফগান পরিবারগুলি তাদের বাড়ি গরম করার জন্য যে গ্যাস হিটার ব্যবহার করত তা লিক করে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এই সপ্তাহে উত্তর-পূর্ব বাদাখশান প্রদেশের একটি গ্রামে তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে ১৭ জন মারা গিয়েছেন।