কাবুল: তালিবানের (Taliban) দেওয়া সময়সীমার আগেই আফগানিস্তান (Afghanistan) ছেড়ে চলে গিয়েছে আমেরিকা (America)৷ তা সত্ত্বেও বহু মানুষ এখনও দেশ ছাড়ার জন্য মরিয়া৷ তবে এক আফগান নাগরিক ও তাঁর পরিবারকে কাবুল থেকে বের করে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন৷ ভাগ্যবান সেই ব্যক্তি হলেন মহম্মদ৷ কেননা এই মহম্মদের প্রতি আজও কৃতজ্ঞ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)৷
১৩ বছর আগের কথা৷ ২০০৮ সালে জো বাইডেন আমেরিকার সেনেটর ছিলেন৷ সেই সময় তিনি মার্কিন বায়ুসেনার বিমানে চেপে আফগানিস্তান যাচ্ছিলেন৷ কিন্তু বাঁধ সাধে প্রকৃতি৷ মার্কিন সেনার দুটো ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার স্নোস্টর্মের কবলে পড়ে৷ বাইডেনের সঙ্গে ছিলেন আরও দুই সেনেটর৷ স্নোস্টর্মের জন্য আফগানিস্তানের প্রান্তিক এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে বিমান অবতরণ করতে বাধ্য হয় পাইলটরা৷
তখন মহম্মদের বয়স ছিল ৩৬ বছর৷ ইংরেজি জানা ওই যুবক মার্কিন সেনায় দোভাষীর কাজ করতেন৷ বিমান যেখানে অবতরণ করে তার কাছেই ছিল জঙ্গিদের ঘাঁটি৷ তখন মার্কিন সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় জঙ্গিরা৷ হাতে বন্দুক নিয়ে লড়াই করে মহম্মদও৷ সেই মহম্মদ তালিবানের ভয়ে পরিবারের সঙ্গে আফগানিস্তানেই গা-ঢাকা দিয়েছেন৷ সেই গোপন ডেরায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এক মার্কিন সাংবাদিক৷
আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীরকে মুক্ত করতে হবে’, তালিবানকে অভিনন্দন জানিয়ে মন্তব্য আল কায়েদার
সেনেটর জো বাইডেন৷
চার সন্তানের বাবা মহম্মদ এখন জো বাইডেনের কাছে তাঁর প্রাণ বাঁচানোর আর্জি জানিয়েছেন৷ বলেন, ‘হ্যালো মিস্টার প্রেসিডেন্ট৷ আমাকে এবং আমার পরিবারকে বাঁচান৷ স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে লুকিয়ে রয়েছি৷ আমাকে ভুলে যাবেন না৷’
আরও পড়ুন: আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানো বুদ্ধিমানের কাজ: বাইডেন
মহম্মদের বার্তা পৌঁছেছে হোয়াইট হাউসের কাছে৷ প্রেস সচিব জেন পাস্কি জানান, আফগানদের সেখান থেকে বের করে আনার জন্য আমেরিকা সবসময় চেষ্টা চালিয়ে যাবে৷ মহম্মদ ও তাঁর পরিবারকে উদ্ধার করা হবে৷ তাঁর কাজকে আমেরিকা সম্মান জানায়৷