কলকাতা ও বর্ধমান: বি সি রায় শিশু হাসপাতালে আবারও এক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ৯ দিন আগে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে বারাসতের রোজা সুলতানা নামে ১০ মাসের ওই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ শিশুটির মৃত্যু হয়। হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃত শিশুর পরিবার। পাশাপাশি তারা নার্সদের বিরুদ্ধেও ঠিক মতো পরিষেবা না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। তবে শিশুটি (Child) অ্যাডিনো ভাইরাসেই আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adinovirous) ভাইরাসে শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে বারোশো’র বেশি শিশু অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি। মৃত্যুর সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। সরকারি হিসেব অনুযায়ী রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসে এ পর্যন্ত ১২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যদিও বেসরকারি মতে এই সংখ্যা অনেক বেশি।
এদিকে, জ্বর, শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে বর্ধমান জেলা হাসপাতালে এই মুহূর্তে ভর্তি ১২০টি শিশু। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন,বর্ধমান হাসপাতালে একটি আলাদা ক্লিনিক করা হয়েছে, শিশুদের চিকিৎসার জন্য আলাদা ওয়ার্ড রয়েছে। চিকিৎসকরা গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখছেন। আগের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে।
আরও পড়ুন: Visva-Bharati University: অকাল বসন্ত উৎসবে নিরাপত্তাকর্মীদের মারে রক্তাক্ত বিশ্বভারতীর ছাত্র
বর্ধমান হাসপাতালের এমএসভিপি (MSVP) তাপস ঘোষ বলেন, ছোটদের পাশাপাশি বড়রাও জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। প্রতি বছরই এই সময়ে জ্বর, সর্দি কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ে। অ্যাডিনো কোনও নতুন ভাইরাস নয়।
জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগে যখন রোজই শিশুমৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে, তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করলেন। বৃহস্পতিবার নবান্নে তিনি বলেন, এক শ্রেণির মিডিয়া অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে অযথা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। কয়েকটি শিশুর মৃত্যুর কথা স্বীকার করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে কোনও শিশুর মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে অনেক শিশু কোমর্বিডিটির কারণে মারা যাচ্ছে। তিনি জানান, চিকিৎসার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে। সাবধানতা বজায় রাখলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।