লখনউ: বছর ঘুরলেই যোগীরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এবারের লড়াই যে খুব একটা সহজ হবে না, তা ইতিমধ্যেই টের পেয়েছেন গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতারা। এখন থেকেই মোদি-শাহ’রা উত্তরপ্রদেশে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথের প্রশস্তি গেয়ে আসছেন। কোটি কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস হচ্ছে। মানুষের মন জয়ে তৎপর রাজ্যের শাসকদল বিজেপি। তৃণমূলস্তরে জনসংযোগ বাড়াতে এবার অভিনব কর্মসূচি নিল সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)।
১৫ অগস্ট উত্তরপ্রদেশে ‘এক গাঁও এক তিরঙ্গা’ কর্মসূচি নিয়েছে এবিভিপি৷ প্রান্তিক স্তরের মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবাদ বাড়াতে এই উদ্যোগ বলে এবিভিপি-র তরফে জানানো হয়েছে৷ এই কর্মসূচির মাধ্যমে গেরুয়া ভাবধারার প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি গ্রামের মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবাদ বাড়ানো সম্ভব হবে মনে করছে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন৷ ছাত্র-যুবরা স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তরপ্রদেশে আসন্ন নির্বাচনে এই কর্মসূচির প্রভাব পড়তে পারে৷
আরও পড়ুন- সাপের কামড়ে অসুস্থ যুবক, জ্যান্ত সাপ নিয়ে হাসপাতালে হাজির পরিবার
২০২২-এ উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন৷ ভোটের আগে এমন কর্মসূচি মূলত গ্রামের প্রান্তিক স্তরের মানুষদের সঙ্গে একাত্মতা গড়ে তুলতে সহায়ক হবে, মত আরএসএস-বিজেপির৷এবিভিপি সূত্রে খবর, প্রত্যেকটি গ্রামের পতাকা উত্তোলনের দায়িত্বে এবিভিপি-র একজন ও গ্রামের একজন থাকবেন৷ তবে, যিনি গ্রামের তরফে নেতৃত্ব দেবেন তিনি অবশ্যই আরএসএস-এর মতাদর্শের হবেন৷ বাকি কাজে বিজেপির লোকেরাই থাকবেন৷
উত্তরপ্রদেশ এবিভিপি-র আঞ্চলিক সম্পাদক ঘনশ্যাম বলেন, এই অনুষ্ঠানে গ্রামের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকবে৷ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ অংশ নেবেন৷ বিশিষ্টদের মতে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে আরএসএস-এর মতাদর্শ তৃণমূল স্তরে পৌঁছনো যাবে৷ এই অনুষ্ঠান সকাল ৮টা থেকে ১০টা ৩০ পর্যন্ত চলবে৷ রাজ্যের ৬টি কেন্দ্র থেকে বাইক র্যালি হবে। সবকটি র্যালি এক জায়গায় মিলিত হবে। তার পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে৷
আরও পড়ুন-এনআরসি তৈরি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি: কেন্দ্র