কলকাতা: ৯ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পরে ইডির দফতর থেকে বেরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেরিয়েই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তদন্তকারী সংস্থা এবং বিজেপিকে জোরালো আক্রমণ করলেন তিনি। রাত ৮টা ৪৯ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “আগে নিট ফল ছিল জিরো, এখন আরও দুই নম্বর কমল। মাইনাস টু, নিট ফল মাইনাস টু।” অভিষেক এও বলেন, ধূপগুড়িতে হারের জ্বালা মেটাতেই সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে বিজেপি। অভিষেকের হুঙ্কার, “এভাবে ইডি দিয়ে ডেকে পাঠিয়ে ধূপগুড়ি পুনরুদ্ধার হবে না।”
কেন্দ্রের শাসকদলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে অভিষেক বলেন, “আমাকে টানা ৪ দিন জেরা করলেও মেরুদণ্ড বিক্রি হবে না। কারণ আমরা বশ্যতা স্বীকার করতে জানি না। তবে ইডিকে আমি দোষ দিই না। ওঁরা কর্মী মাত্র। নির্দেশ পালন করাই ওঁদের কাজ।” তিনি আরও বলেন, “যা যা প্রশ্ন করেছে আমি উত্তর দিয়েছি। বাংলার মানুষ মেরুদণ্ড বিক্রি করে না। যারা মেরুদণ্ড বিক্রি করে অন্য দলে চলে গিয়েছে তাদের ডেকে পাঠানো হয়নি।”
আরও পড়ুন: অভিষেকের পাশে ইন্ডিয়া জোট, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ
ইডির দফতরে বাইরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে অভিষেক বলেন, “মাননীয় বিচারপতির কাছে বয়ান জমা করুন। আমি প্রথম দিন থেকে একই কথা বলছি। যখনই নির্বাচন আসবে তখনই ডেকে পাঠাবে। ইডির অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে ইডিকে চ্যালেঞ্জ করছি।”
তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে নিয়ে তৃণমূল সাংসদ ফেলুদার এবং জটায়ুর নাম করলেন। অভিষেক বলেন, “ফেলুদাকে তাঁর জটায়ু প্রশ্ন করেছিল, একই জিনিস আমরা একরকম দেখছি, আর আপনি অন্যভাবে দেখছেন, সেটা কী করে? জবাবে ফেলুদা বলেছিলেন, আপনার আর আমার মধ্যে তফাত শুধু দৃষ্টভঙ্গির। আপনারা আগে অপরাধী ঠিক করে নেন। পরে অপরাধ খোঁজেন। কিন্তু আমি আগে অপরাধ খুঁজি তার পর অপরাধীকে চিহ্নিত করি। ইডিও এখানে জটায়ুর মতোই আগে অপরাধী ঠিক করে নিচ্ছে। আগে অপরাধ খুঁজছে না। হয়তো তাই তারা অপরাধের গভীরে পৌঁছতে পারছে না।”