কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আদালতকে ধন্যবাদ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে তৃণমূল যে ভাবিত নয় তা বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক বৈঠকে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সব সভাপতি। অভিষেক বলেন, হাইকোর্টকে ধন্যবাদ। কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) দিয়ে ভোট করলেই শাপে বর হয় তৃণমূলের। যতবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর তদারকিতে নির্বাচন হয়েছে, ততবার জয় পেয়েছে তৃণমূল।
ভোটের আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা বাকি রাজ্যজুড়ে হিংসা অব্যাহত। রাজ্যের একাধিক জেলা হিংসা হানাহানির দাপটে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক হিংসায় এখনওএ পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যপাল অভিযোগ করেছে রাজ্যনির্বাচন কমিশন রাজধর্ম পালন করছেনা। বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেছে শাসকদল মনোনয়নে বাঁধা দিয়েছে। এদিন বিরোধীদজের অভিযোগ খারিজ করে অভিষেক দাবি করেন, এই বছর বিরোধীরা যে মনিনেশন জমা করেছে তা আগে কখনও হয়নি। এ বছর বিরোধীরা বিপুল পরিমাণ মনিনেশন জমা করেছে। ভোট প্রচারের একাধিক তৃণমূল নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তৃণমূলকে ভোট না দিলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে না। এদিন সেই বক্তব্যের কার্যত বিরোধিতা করেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, কেউ বলতে পারবে, বিজেপিকে ভোট দিয়েছি বলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাইনি?
আরও পড়ুন: Amartya Sen | Visva-Bharati University| অমর্ত্যকে পরিযায়ী ও পরিব্রাজক বলে কটাক্ষ বিশ্বভারতীর
বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, বাংলায় জিততে না পেরে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি- সিবিআই লাগিয়ে দিচ্ছে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার জন্য। চাইলে ১০০দিনের কাজ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করুক। ভুয়ো জব কার্ড হোল্ডার সবচেয়ে বেশি পাওয়া গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে। জুন পর্যন্ত রাজ্যে ১৮৬টি কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছে। ১০০ দিনের কাজের সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য, গ্রামের উন্নয়নে জন্য, মা বোনেদের জন্য তৃণমূল কী না করেছে। অভিষেক বলেন, আপনারা কানে শুনে নয়, চোখে দেখে ভোট দিন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে, সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা বাংলার টাকা আটকে রেখেছে, তাদের উচিত জবাব দিতে হবে। অনেক সৌজন্যের রাজনীতি আর নয়, এবার দিল্লি থেকে ছিনিয়ে আনব।