জলপাইগুড়ি: চা শ্রমিকরা পিএফ এবং গ্র্যাচুইটির ঠিক মতো না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথমে শান্তিপূর্ণ ভাবে দাবি জানাবে। তাতে কাজ না হলে নভেম্বর-ডিসেম্বর দুই মাস পিএফ অফিস ঘেরাও করবে। সমাধান না হলে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি বিজেপি বিধায়ক-সাংসদের বাড়ি ঘেরাও করা হবে। আর সব শেষে বাংলার হাজার হাজার চা শ্রমিকদের নিয়ে দিল্লি অভিযান করা হবে।
রবিবার মালবাজারের সভা থেকে অবহেলিত চা শ্রমিকদের পক্ষে নিয়ে চা বাগানের মালিক এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ভোটের আগে কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা দফায় দফায় রাজ্য সফরে আসেন। এক গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু, কিছুই বাস্তবায়িত হয় না। চা শ্রমিকদের জন্য-তাদের পাশে দাঁড়িয়ে একাধিক পদক্ষেপ করেছে শুধু মাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকার।
আরও পড়ুন: ডেটিং অ্যাপে বন্ধুত্ব, হোটেলের ঘরে যুবককে ঘুম পাড়িয়ে সর্বস্ব হাতিয়ে গ্রেফতার যুবতী
এ দিন অভিষেক বলেন, এখনও পঞ্চায়েত নির্বাচনের এক বছর বাকি রয়েছে। ভোট এগিয়ে এলেই বিজেপির নেতারা রাজ্য সফর শুরু করবেন। অভিষেক আরও বলেন, চা শ্রমিকদের সচিত্র পরিচয় পত্র নিয়ে একাধিক অভিযোগ শোনা গিয়েছে। তিন মাসের মধ্যে প্রতিটি চা শ্রমিকের পরিচয় পত্র তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলা হবে। তার পর যাতে পিএফ-গ্র্যাচুইটির সমস্যা দ্রুত মেটানো যায়- তা চা বাগানের মালিকদের নিশ্চিত করতে হবে।পাশাপাশি অভিষেক বলেন, চা শ্রমিকদের সুবিধার জন্য একাধিক প্রকল্প শুরু করেছে রাজ্য সরকার। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কম করে পাঁচটি ক্রেস তৈরি করা হবে বলেও এ দিন জানান অভিষেক। যেখানে নিজেদের শিশু সন্তানকে রেখে নিশ্চিন্তে বাগানে কাজ করতে যেতে পারবেন চা শ্রমিক বাবা-মায়েরা। এ ছাড়াও অভিষেক জানিয়েছেন, চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য শীঘ্রই তৈরি হবে স্বাস্থ্যকেন্দ্র।