খড়দহ: ৩০ অক্টোবর বাংলার চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে শনিবার দুপুরে জোড়া সভা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুটি সভা থেকেই বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অভিষেক। বাম-কংগ্রেসকেও একহাত নেন।
বিধানসভা নির্বাচনে খড়দহ কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন কাজল ঘোষ। নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা কাজলবাবুর ছবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোট প্রচার চালাচ্ছেন বলে সম্প্রতি অভিযোগ তুলেছেন তাঁর স্ত্রী। সেই ঘটনার উল্লেখ করে করে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের তুলোধনা করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস-সিপিএমকে ভোট দিয়ে লাভ নেই, গোসাবায় অভিষেক
অভিষেক বলেন, পদ্মফুলের পাপড়ি শুকিয়ে গিয়েছে। তাই নরেন্দ্র মোদি, দিলীপ ঘোষের ছবি বাদ কাজলবাবুর ছবি নিয়ে প্রচার চালাতে হচ্ছে বিজেপিকে। করোনা ও বহিরাগত ইস্যুতেও বিজেপিকে একহাত নেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ, বাংলায় করোনা বেড়েছে বহিরাগতদের জন্যই। ৮ দফায় ভোট করা হয়েছে। এক দফায় ভোট কোনও সমস্যা হত না।
প্রচার সভা থেকে তৃণমূল শোভনদের চট্টোপাধ্যায়েরও ভূয়সী প্রশংসা করেন অভিষেক। খড়দহবাসীর উদ্দেশে অভিষেকের বার্তা, বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় আপনাদের সাংসদ রয়েছেন। খড়দহের বাসিন্দারা বিধায়ক নয়, মন্ত্রীদের নির্বাচিত করেন। খড়দহবাসীর সৌভাগ্য যে তাঁরা শোভনবাবুকে নির্বাচিত করার সুযোগ পেয়েছেন। সেরা সাংসদ ও সেরা বিধায়কের এই কম্বিনেশন গোটা ভারতবর্ষে নেই।
আরও পড়ুন: বাবুদের টিকিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, গোসাবা থেকে বিজেপিকে কটাক্ষ অভিষেকের
বাম-কংগ্রেসকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের একটাই পার্থক্য। কংগ্রেস ৭ বছর ধরে বিজেপির কাছে হারছে। আর তৃণমূল সাত বছর ধরে বিজেপিকে হারাচ্ছে। কংগ্রেস-সিপিএম উঠেই গিয়েছে। সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করতে আইএসএফের সঙ্গে জোট করেছে ওরা। ওদের ভোট দেওয়ার থেকে নোটায় ভোট দেওয়া ভালো।