কলকাতা: মন্ত্রিত্ব থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ মমতার নির্দেশে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন পদ থেকেও ছেঁটে ফেলা হতে পারে পার্থকে। একদা মমতার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পার্থর বিরুদ্ধে এখন গলা পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগ। তা সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা নিয়ে ঘরে-বাইরে সমালোচনায় অস্থির দল। তাই মমতার নির্দেশে দল বৃহস্পতিবার বিকেলেই বৈঠকে পার্থকে মহাসচিবের পদ থেকে সরাতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
শুধু মহাসচিব নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিরও সদস্য। কিন্তু, তাঁরই বান্ধবীর দুটি ফ্ল্যাট থেকে পাহাড়প্রমাণ টাকার খনি উদ্ধারের পর তাঁর আর ওই কমিটিতে থাকার কোনও অধিকার আছে বলে মনে করছেন মমতা। দলনেত্রী ওই বৈঠকে না-থাকলেও সেখানে থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। দলীয় মুখপত্র জাগোবাংলার সম্পাদক পদেও রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই পদটিও তিনি হারাতে বসেছেন।
মোট কথা, বিরোধীদের লাগাতার সমালোচনার জবাব দিতে ও দলকে নিষ্কলুষ ও শৃঙ্খলাপরায়ণ বলে প্রমাণ করতেই মমতা এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। যদি শেষমেশ তৃণমূলের বৈঠকে মহাসচিবের ডানাছাঁটা হয়, তাহলে বুঝতে হবে, দল এরপর থেকে আর পার্থকে নিয়ে কোনও দায়িত্বই নেবে না। মুখেও চাবি পড়বে বিরোধীদের। সুতরাং, একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা পার্থকে একইদিনে মমতা ‘বেওয়ারিশ’ করে দেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।