আগরতলা: কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে ত্রিপুরায় পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গ্রেফতার হওয়া নেতা-কর্মীদের খোয়াই থানা থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ ওই থানাতেই রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ সঙ্গে রয়েছেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ দোলা সেন, এবং কুণাল ঘোষ৷ থানার ওসির সঙ্গে তুমুল কথা কাটাকাটি চলছে তাঁদের৷ গ্রেফতার হওয়া নেতা-কর্মীদের না ছাড়ানো পর্যন্ত দিনভর থানায় অবস্থানের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা৷
মহামারি আইন অমান্যের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের ১১ জন নেতা-কর্মীকে৷ ধৃতদের মধ্যে আছেন সুদীপ রাহা, দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত৷ গ্রেফতারের পর রবিবার ভোরে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় খোয়াই থানায়৷ তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়ে ত্রিপুরায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিষেক৷ সেই মত আজ রবিবার সকালে বিপ্লব দেবের রাজ্যে পৌঁছে যান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ৷ বিমানবন্দর থেকে সটান হাজির হন খোয়াই থানায়৷
আরও পড়ুন: ‘ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখুন,’ দলের মহিলা কাউন্সিলর সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য দিলীপের
National General Secretary, Shri @abhishekaitc along with @basu_bratya, @KunalGhoshAgain and @Dolasen7 have reached Khowai police station.
We strongly condemn the unlawful arrest of our workers. We will keep fighting for justice till our last breath!#TripuraDeservesBetter pic.twitter.com/5mFLjgakAu
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) August 8, 2021
অভিষেকের সফরকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ত্রিপুরা৷ বিমানবন্দর থেকে খোয়াই থানা যাওয়ার পথে তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়৷ দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগান৷ অভিষেক খোয়াই থানায় পৌঁছতেই উত্তেজনা চরমে ওঠে৷ অভিযোগ, থানার বাইরে থাকা বিজেপি কর্মীরা অভিষেককে দেখে বিক্ষোভ দেখান৷ গো ব্যাক স্লোগানও দেন৷ কিন্তু সময় নষ্ট না করে থানার ভেতর ঢুকে পড়েন তিনি৷ তাঁকে দেখেই আরও চাঙ্গা হয়ে ওঠেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা৷
কোন অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে তার নথি থানার অফিসারের কাছে দেখতে চান অভিষেক৷ প্রশ্ন করেন, হামলায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতাদের কেন গ্রেফতার করা হবে না? থানার বাইরে এত লোক কেন? ব্রাত্য বসু, দোলা সেনরাও তর্কাতর্কি শুরু করে দেন৷ দোলা সেন প্রশ্ন তোলেন, ১৪ জন লোক মহামারী আইন ভেঙেছে৷ আর বিজেপির এতগুলো লোক কী করেছে? বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের ১৪ জন যুব নেতা ও কর্মীর উপর হামলা অভিযোগ করেন তাঁরা৷ হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে থানায় ধর্নায় বসে পড়েন তৃণমূল নেতৃত্ব৷