নয়াদিল্লি ও নিউ ইয়র্ক: অটলবিহারী বাজপেয়ির কারগিল যুদ্ধের (Kargil War) পর নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নেতৃত্বে কি ফের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ (India-Pakistan War) হতে চলেছে। ১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধে জয়ের পরই লোকসভা ভোটে বিপুল জয়ে ফের ক্ষমতায় এসেছিলেন বাজপেয়ি। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি লোকসভা ভোটের সময়। ফলে তার আগে দেশে পাকিস্তান-বিরোধী জিগির তোলার একটা চেষ্টা হতে পারে বলে রাজনীতিবিদদের মত। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থারও একটি রিপোর্ট (US Intl Report) বলছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গি দমনের নামে জবাব দিতে পারে ভারত।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে পাকিস্তান এখন শাঁখের করাতে পড়েছে। এই অবস্থায় মোদির পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর সম্ভাবনার কথাও উজিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন র প্রধান। ফলে পাকিস্তানে নৈরাজ্যের পরিস্থিতি চলায়, কাশ্মীরে ফের জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের মাটি থেকে কাশ্মীরকে অশান্ত করার চেষ্টা হলে ভারত তার যোগ্য জবাব দিতে পারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে মার্কিন রিপোর্টে।
আরও পড়ুন: Colonel Geeta Rana: লাদাখে সীমান্তে প্রথম মহিলা সেনা অফিসার কর্নেল গীতা রানা
ইউএস ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের ‘দি অ্যানুয়াল থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট’ রিপোর্টের অনুমান, ভারত ও পাকিস্তান দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ। কাশ্মীরকে নিয়ে যদি তাদের মধ্যে ফের সম্পর্কের অবনতি ঘটে তাহলে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। রিপোর্টে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে পাকিস্তানের মদত দেওয়া নিয়েও বলা হয়েছে। এই অবস্থায় বিন্দুমাত্র পাকিস্তানি প্ররোচনায় নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সেনাবাহিনী নামিয়ে জবাব দিতে পারে।
রিপোর্টটি এমন সময় সামনে এল, যখন ভারত কড়া ভাষায় পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওল ভুট্টো জারদারিকে তুলোধনা করল। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে নারী, শান্তি এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি আলোচনায় জারদারির কঠোর সমালোচনা করে ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ জারদারির কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্যকে ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকে (Pakistan) কড়া বার্তা (Stern Message) দিয়েছে ভারত (India)। ভারত বলেছে, পাকিস্তানের উচিত মানবাধিকার লঙ্ঘন (Violation of Human Rights) নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার আগে, নিজেদের ঘরের দিকে নজর দেওয়া। মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) অন্য এক অধিবেশনে বিদেশমন্ত্রকের আন্ডার সেক্রেটারি জগপ্রীত কৌর (Jagpreet Kaur, Ministry of External Affairs Under Secretary) তাঁর বক্তৃতায় প্রতিবেশী দেশের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, পাকিস্তান গোটা দুনিয়াকে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল, সেই নিয়ে পরামর্শ (Advice) দিচ্ছে, অথচ পাক জনগণকে (Population of Pakistan) গণতন্ত্র থেকে বঞ্চিত করছে। এরপর, পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, আমাদের পরামর্শ, পাকিস্তান নিজের ঘর গোছাক এবং তাদের দেশের জনগণের মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে যে নিরাশাজনক রেকর্ড তৈরি করেছে, সেটা ঠিক করার দিকে মনোযোগ দিক।