বোলপুর: বোলপুরে বেসরকারি ব্যাঙ্কে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড।গরু পাচার কাণ্ডে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। এই ব্যাঙ্কেই গরু পাচার কাণ্ডে তদন্তের স্বার্থে একাধিকবার হানা দিয়েছিল সিবিআই। এবার সেই ব্যাঙ্কেই বিধ্বংসী আগুন। বুধবার ঘটনাটি ঘেটেছে বীরভূমের বোলপুরের শান্তিনিকেতন রোডের বোলপুর পুরসভার সুপারমার্কেটের এ ব্লকের দ্বিতীয় তলে। প্রায় ঘণ্টা তিনেকের পর নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন হঠাৎই ওই মার্কেটের দ্বিতীয় তল থেকে কালো ধোঁয়া দেখতে পায় এলাকার লোকজনেরা। খবর দেওয়া হয় দমকলে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। তবে আগুনের তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ ছিল, পরবর্তীতে দমকলের আরও তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে।
ওই মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় কালো ধোঁয়ায় ছড়িয়ে যায়। অপ্রীতিকর পরিবেশ এড়াতে প্রথমে বোলপুর থানার আইসি ঘটনাস্থলে আসেন। পরবর্তী সময়ে বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার সুরজিৎ কুমার দে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে এলাকায় পরিস্থিতি সামাল দেন। দমকলের প্রাথমিক অনুমান,শর্ট সার্কিটের কারণেই এই আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। তবে কী কারনে আগুন লাগলো, সেটা তদন্তের পর জানা যাবে।
আরও পড়ুন:Iran Hijab Agitation : ১১ দিন পরেও ইরানের বিক্ষোভ অব্যাহত, গ্রেফতার ২০ সাংবাদিক
উল্লেখ্য, গরু পাচারের কাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা একাধিকবার বোলপুরের এই সুপার মার্কেটের ব্যাঙ্কে হানা দেয়। কারণ, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন সহ একাধিক ব্যক্তির এই ব্যাঙ্কে গ্রাহক হিসেবে রয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন ছিল অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের। সেই কারণেই এই ব্যাঙ্ক থেকে একাধিক নথি সংগ্রহ করেছিল সিবিআই। এমনকি অনুব্রত ও তাঁর আত্মীয়দের ১৬ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট সিজ করেছিল সিবিআই। এমনকী তাঁর অ্যাকাউন্টও এই ব্যাঙ্কে ছিল। এখন দেখার সিবিআই যে ব্যঙ্কে হানা দিয়েছিল, সেই ব্যাঙ্কে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আবারও কি তদন্তে আসবে?