কলকাতা: বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue) উদ্বেগ। এই বর্ষার মরশুমে ইতিমধ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এই প্রেক্ষিতে সব জেলার জেলাশাসকদের (DM) সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব (Chief Secretary) হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী । সেখানে ডেঙ্গি মোকাবিলায় একগুচ্ছ কর্মসূচি নেওয়া হল। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের (Department) সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব। এই বৈঠকে বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গি মোকাবিলায় পদক্ষেপ খতিয়ে দেখা হয়।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ড্রোনের (Drone) সাহায্যে মশার বংশবিস্তারের জায়গা চিহ্নিত করা হবে। ১২ জুন থেকে যে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার (Survey) কাজ শুরু হয়েছে তা ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এছাড়া ভেক্টর নিয়ন্ত্রণের কাজ চলবে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সব মিলিয়ে রাজ্যে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ২২০ জন কর্মীকে ভেক্টর কন্ট্রোল অ্যাক্টিভিটিজে কাজে লাগানো হচ্ছে। লার্ভা নিয়ন্ত্রণে ৭৫ লাখ মাছ দেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত ২ কোটি ২৫ লক্ষ মাছ দেওয়া হবে আগামী এক মাসে। বিনামূল্যে ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হবে সরকারি ১৬০টি জায়গায়। ৯ হাজার ডাক্তার ও প্যারা মেডিক্যাল স্টাফকে ডেঙ্গি মোকাবিলায় বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আশা কর্মীদের এক্ষেত্রে কাজে লাগানো হচ্ছে। হাসপাতালগুলিতে পৃথক ফিভার ক্লিনিক চালু হচ্ছে। ডেঙ্গি রোগীদের ভর্তি নেওয়ার জন্য সব হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। অগাস্ট মাস থেকে স্কুল ভিত্তিক প্রচারও চালানো হবে। দুদিনের বেশি জ্বর থাকলে ডেঙ্গি পরীক্ষা করতে বলা হচ্ছে। সব জেলাশাসকদের বলা হয়েছে ডেঙ্গি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করতে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | Assembly | কোনও ভোট লুট হয় নি, বিধানসভা দাবি মমতার
উল্লেখ্য, বর্ষা শুরু হতেই রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুও (Death)। ২১ জুলাই বাঙুরের বাসিন্দা রিঙ্কি রায়ের মৃত্যু হয়। ২২ জুলাই ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয় কলকাতার ১০ বছরের এক বালিকার। তাঁদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। দক্ষিণ দমদম (South Dumdum) পুরসভা এলাকা, বারাসত সহ বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে।