কলকাতা: ভোট পরবর্তী ‘অশান্তি’ মামলার তদন্তভার সিবিআই (CBI) এবং সিটের উপর দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সিবিআই বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে তদন্ত শুরু করলেও কাজ শুরু করেনি সিট। বৃহস্পতিবার বিশেষ তদন্তকারী দল বা SIT গঠন করে রাজ্য সরকার। ওই তদন্তকারী দলে ১০ জন দক্ষ আইপিএস আধিকারিক রয়েছেন। যারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন রয়েছেন।
সিট গঠনের একদিনের মধ্যে শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে। বৃহত্তর বেঞ্চ এর আগে নির্দেশ দিয়েছিল ৪ অক্টোবর ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি হবে। আচমকা বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য হওয়ায় জল্পনা ছড়িয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল সম্প্রতি বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে সক্রিয় নয় সিট। তিনি বলেছিলেন, ‘সিট যে কাজ করছে না সেটা আমরা জানি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের কোন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পর্যবেক্ষণে কাজ করবে সিট, তা আজকের শুনানিতে জানাতে পারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি-সহ ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। আইনজীবীদের একাংশের অনুমান, ‘পরবর্তী পর্যায়ে কোন ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে সেই সংক্রান্ত নির্দেশও দিতে পারে আদালত।
১৯ জুলাই হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ভোট পরবর্তী খুন, ধর্ষণ, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মতো গুরুতর ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। বাড়ি ভাঙচুর করা-আগুন লাগানো, মারধর করা, ঘরছাড়া করার মতো অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্ত করবে সিট (SIT)। ছ’সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। আইপিএস রশিদ মুনির খানের বিরুদ্ধে সিবিআই এবং সিট- উভয়ই তদন্ত করবে।
আরও পড়ুন: সিটের চেয়ারম্যান হলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর
সিবিআইয়ের তরফে রাজ্যের ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিআইজি অখিলেশ সিংহকে। তদন্তের স্বার্থে এবং তদন্তের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য রাজ্যকে ৪টি জোনে ভাগ করেছে সিবিআই। সেগুলি হল কলকাতা, উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ এবং পশ্চিমাঞ্চল। ৪টি জোনের তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন একজন করে জয়েন্ট ডিরেক্টর। তদন্তের গতি প্রকৃতি প্রতিনিয়ত দিল্লিতে পাঠাচ্ছেন তাঁরা। আগামী ৬ মাসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে হাইকোর্ট।
সিটের ১০ আইপিএস অফিসারকে পাঁচটি ডিভিশনে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে দুই জন করে থাকা বিভাগগুলি হল- হেড কোয়ার্টার, উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ জোন এবং কলকাতা জোন। চলতি সপ্তহের বুধবার নবান্নের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে ওই সিট এবং তার সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।