কাবুল: প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালাতেই সমন্বয় পরিষদ গঠিত হল আফগানিস্তানে৷ আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ, হামিদ কারজাই এবং হেকমতিয়ার সমন্বয় পরিষদ গঠন করেছেন৷ নাগরিকদের সুরক্ষা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শান্তিপূর্ণ ভাবে সুনিশ্চিত করতে এই সমন্বয় পরিষদ গঠন করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- ভূমিকম্প বিধ্বস্ত হাইতিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২৪
হামিদ কারজাই বলেন, দেশ থেকে মোহাম্মদ আশরাফ ঘানি এবং অন্যান্য আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর একটি সমন্বয় পরিষদ গঠিত হয়েছে। আব্দুল্লাহ আবদুল্লাহ, হামিদ কারজাই এবং গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার ওই পরিষদের সদস্য।
در پیام این شورا از مردم خواسته شدهاست که در صورت ضرورت تماس بگیرند.
۱. عطا محمد شریفی (۰۷۰۰۲۲۹۷۲۰) (۰۷۹۹۱۵۱۶۶۶)
۲. عبدالرقیب (۰۷۹۹۷۹۴۵۰۰)— Khaama Press (KP) (@khaama) August 15, 2021
আরও পড়ুন- দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি
প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন বলে ইন্টেরিয়র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। রবিবার (১৫ আগস্ট) সন্ধেয় সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- ফি বছর স্বাধীনতা দিবসে একই প্রতিশ্রুতি মোদির, দাবি কংগ্রেসের
বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা এ খবর প্রকাশ করলেও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের দাবি, নিরাপত্তার কারণে আশরাফ ঘানির গতিবিধির বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না। অন্যদিকে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে তালিবান প্রতিনিধিরা ঘানির অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন- দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
এর আগে, তালিবান মুখপাত্র সুহাইল শাহীন সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানের জনগণের ওপর তারা কোনও প্রতিশোধ নেবে না৷ লাগরিকদের জীবন সম্পূর্ণ নিরাপদ। তালিবানরা দেশ ও জনগণের সেবক।
আরও পড়ুন- Exclusive: ‘ওমরের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে’, বিস্ফোরক রশিদ খান
প্রায় দু’দশক পর আফগানিস্তানে শুরু হতে চলেছে তালিবান-রাজ। ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তালিবানের হাতে রাজপাট তুলে দেওয়ার কথা ছিল আফগানিস্তানের আসরাফ ঘানি সরকারের৷ কিন্তু পদত্যাগের পর প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানির কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না তালিবানরা৷ সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে উঠে আসছে তালিবান প্রধান মোল্লা আব্দুল ঘানি বরাদরের নাম৷
আরও পড়ুন- আলিমুদ্দিনে উল্টো পতাকা তুলছিলেন বিমান, এগিয়ে এসে পরিস্থিতি সামলালেন সেলিম
রবিবার কাবুলের দখল নেয় তালিবানরা। কাবুলে হামলা হবে না, এই শর্তেই তালিবানের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে আফগানিস্তান সরকারের। তালিবান মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘আগামী দিনে কাবুলে থাকতে গেলে তালিবান প্রশাসনের কাছে সব নথিপত্র জমা করতে হবে।’
আরও পড়ুন- তালিবানকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চলেছে আফগান সরকার
কাবুলের দখল নিতে গত এক সপ্তাহ ধরে ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছিল জঙ্গিরা৷ শেষ সাতদিনে একের পর এক প্রাদেশিক রাজ্যের দখল নেয়৷ কার্যত বিনা প্রতিরোধে গজনি, কন্দহার, মাজার-ই-শরিফ এবং জালালাবাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ সহজে দখল করে তারা৷ রবিবার সকাল পর্যন্ত দেশের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ২৬টিতে তালিবান সাম্রাজ্য তৈরি হয়ে যায়৷ এর পর তালিবানরা কাবুলে ঢুকতে শুরু করে৷
আরও পড়ুন- ৭৫ সপ্তাহে ৭৫ বন্দে ভারত ট্রেন গোটা ভারতকে জুড়বে: মোদি
গত এপ্রিল মাসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন৷ ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা৷ আমেরিকার ঘোষণায় শক্তিসঞ্চয় করতে শুরু করে তালিবানরা৷ জুন মাসের শেষ দিকে আফগান বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তাদের৷ মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই আফগানিস্তানের দখল নিল তালিবানরা৷