কলকাতা: একুশের ভোটের পর তাঁদের সেভাবে আর গেরুয়া মঞ্চে দেখা যায়নি৷ বাংলার মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) এবং ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) আদৌ বিজেপিতে আছেন কিনা তা নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যেও চর্চার শেষ নেই৷ কিন্তু জাতীয় কর্মসমিতিতে দু’জনকে ঠাঁই দিয়ে বিজেপি (BJP) বুঝিয়ে দিল, মিঠুন এবং রাজীব পদ্মফুলেই আছেন৷
আরও পড়ুন: মনোনয়ন জমা দিলেন, নিশীথ গড়ে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী উদয়ন
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় কর্মসমিতির নেতাদের নামের তালিকা ঘোষণা করে গেরুয়া শিবির৷ নামের তালিকা দেখে রাজনৈতিক মহলের ধারনা, দলবদলু নেতাদের বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ জাতীয় কর্মসমিতিতে বাংলা থেকে জায়গা পেয়েছেন ৬ নেতা৷ মিঠুন ছাড়া দীনেশ ত্রিবেদী, স্বপন দাশগুপ্ত, ভারতী ঘোষ, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীকে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করা হয়েছে৷ আমন্ত্রিত সদস্য করে রাখা হয়েছে ‘বেসুরো’ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ এঁদের মধ্যে দীনেশ এবং রাজীব একুশের ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন৷
কিন্তু রাজীব এখন পুরনো দলে ফিরে যাওয়ার জন্য ছটফট করছেন৷ তাই প্রশ্ন উঠছে জাতীয় কর্মসমিতিতে আমন্ত্রিত হিসেবে কতদিন রাজীবকে বিজেপিতে ধরে বেঁধে রাখা যাবে? গেরুয়া শিবিরে এসেও তিনি যে খুব একটা সুখে আছেন এমনটাও নয়৷ বস্তুত বিধানসভা ভোটের পর একাধিকবার ফুল শিবির বদলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী৷ অপরদিকে বিজেপির একটা অংশ এখনও রাজীবকে দলে রেখে দেওয়ার পক্ষে৷ কর্মসমিতিতে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে তাঁকে রেখে দিয়ে বিজেপি বোঝাতে চাইল, দলে এখনও তাঁর গুরুত্ব আছে৷
আরও পড়ুন: লখিমপুর নিয়ে বরুণের টুইটের জের? বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ মা-ছেলে
রাজীব ছাড়াও জাতীয় কর্মসমিতিতে রাখা হয়েছে অশোক লাহিড়ি, জয়ন্ত রায়, দেবশ্রী চৌধুরী, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, মাফুজা খাতুনের নাম৷ দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তকে করা হয়েছে অন্যতম কেন্দ্রীয় মুখপাত্র৷ কেন্দ্রীয় সম্পাদক পদে রইলেন অনুপম হাজরা৷ নবান্ন দখলের লড়াইয়ে ধাক্কা খাওয়ার পরেও বাংলার পর্যবেক্ষক পদে রাখা হয়েছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন এবং অমিত মালব্যকে৷