মালদহ: পাকুয়াহাটের নারী নির্যাতনের ৯ দিন পর চার পুলিশ অফিসারকে ক্লোজ করল জেলা পুলিশ। সূত্রের খবর, ক্লোজ করা হল পাকুয়াহাট থানার আইসি জয়দীপ চক্রবর্তী, নালাগোলা পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মৃণাল সরকার, পাকুয়াহাট পুলিশ ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস এবং এএসআই সঞ্জয় সরকারকে। পাকুয়াহাটে চুরির অভিযোগে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে। ওই দুই নির্যাতিতাকেই গ্রেফতার করা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশ। জাতীয় মহিলা কমিশন ঘটনার তদন্তে আসছেই শীঘ্রই। তার আগেই জেলা পুলিশ ওই চার অফিসারকে ক্লোজ করল। বিরোধীদের অভিযোগ এটা আসলে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ারই কৌশল।
গত ১৮ জুলাই মালদহর (Malda Incident) পাকুয়াহাটে হাট চলাকালীনই দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ ওঠে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে। তাঁদের শ্লীলতাহানিও (Molestation Case) করা হয়। মারধরের পর তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে ১৯ জুলাই থানা ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় প্রথমে নির্যাতিতাদেরই গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে জামিন পান তাঁরা। বিষয়টিকে ইস্যু করে রবিবার পথে নামে বিজেপি। বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে এসপি অফিসের সামনে বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। ঘটনার প্রেক্ষিতে গত বুধবার পাকুয়াহাট ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব। এর পর শুক্রবার চার পুলিশ আধিকারিককে ক্লোজ় করা হল। পুলিশ সূত্রে খবর, চার জনের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে।
ওই দুই নির্যাতিতার বয়ানও রেকর্ড করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই জাতীয় মহিলা কমিশন এবং তফসিলি কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলারা। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবকে চিঠি দিয়ে ওই ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, রাজ্যের মহিলা কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়া হবে। মারধরের অভিযোগে, ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে আরও কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টাও চলছে।