ঘুসুড়ি: বর্ধমানের ছায়া এবার হাওড়ার ঘুসুড়িতে। হাওড়া মালিপাঁচঘড়া থানার গজানন বস্তির ঘটনা। বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হল একাধিক। কম করে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অসুস্থ বহু। অসুস্থদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে তাঁরা কী কারণে অসুস্থ হয়েছেন সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন হাসপাতাল ও পুলিসও। ওই বস্তিতেই এখনও পড়ে মৃতদেহ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিস কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী। আবগারি দফতরের আধিকারিকরা তদন্তে নেমেছে। মৃত ব্যক্তিদের নাম অমিত ভার্মা, অনিল চৌরাসিয়া, প্রকাশ মিশ্র, লক্ষ্মণ সাউ, বিস্কুট রায়, সুকুমার চৌধুরী, প্রকাশ রাজভার, ত্রিভূবন পণ্ডিত, রণজিত গুপ্ত ও স্বপন দাস।
ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালিপাঁচঘড়া থানার গজানন বস্তিতে ভাঙচুর চালাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় এক মদ বিক্রেতা প্রতাপের বাড়িতে ভাঙচুর চালাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। শোনা যাচ্ছে, সালকিয়ার একাধিক জায়গায় বিষমদ খেয়ে অসুস্থ এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত বিষমদ খেয়ে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে প্রশাসনের তরফে। মঙ্গলবার রাতে তিনজন মারা গিয়েছে। তাঁদের দেহ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাঁদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে না কি বিহারে নিয়ে গিয়েছে সে বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিস।
আরও পড়ুন: Sri Lanka Crisis: ভারতের কাছে সাহায্য প্রার্থনা লঙ্কার বিরোধী দলনেতার, সর্বদলে কী বললেন জয়শঙ্কর?
বিষমদ খেয়ে মৃত এক ব্যক্তিকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার সময় আটকালো পুলিস। থানার সামনে পুলিস মৃতদেহ আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে আত্মীয় পরিজনেরা জানান, মদ খেয়েই মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম রাজেশ্বর রায়। মৃতদেহ অ্যাম্বুল্যান্সে করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিসের সন্দেহ, গোপনে দেহ পুড়িয়ে দিতে চাইছিল।