কলকাতা: চাকরি দেওয়ার বিষয়ে সহমত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এবং কলকাতা হাইকোর্ট। যার ভিত্তিতে চাকরি পেতে চলেছেন বহু প্রাথমিক শিক্ষক। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিতবাবু জানিয়েছেন যে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে ওই সকল শিক্ষকদের নিয়োগ করতে। বিচারপতির ওই নির্দেশের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী। যার কারণে শীঘ্রই নিয়োগপত্র পেতে চলেছেন ৩০জন প্রাথমিক শিক্ষক।
২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে তার নিয়োগের পরীক্ষা হয়। ২০১৬ সালে ফলাফল বের হয়। সেই ফলাফলের ভিত্তিতে আবেদনকারী মনিরুল মণ্ডলসহ ৩০ জনের নাম ওই কৃতকার্যদের তালিকায় থাকে না। তারা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে বলে জানায় পর্ষদ।
পরবর্তীকালে মনিরুল মণ্ডলসহ ৩০ জন তথ্য জানার আইন অনুসারে পর্ষদের কাছে আবেদন করে। তাতে দেখা যায় তারা ওই পরীক্ষায় যে উত্তর দিয়েছিল সেই উত্তর সঠিক। কারণ পর্ষদের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল। এই আবেদনকারীরা ওবিসি ক্যাটাগরির আবেদনকারী ছিল। তারা কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানায় তৎকালীন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বিশ্বভারতীর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করেন। ওই কমিটি আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানায় যে সঠিক প্রশ্নের ভুল ছিল তা পর্ষদের গাফিলতি। পরবর্তীকালে বিচারপতি নির্দেশ দেন ওই চারটি প্রশ্নের জন্য পর্ষদকে পরীক্ষার্থীদের পুরো নম্বর দিতে হবে।
কলকাতা হাইকোর্ট
পুরো নম্বর দেওয়ার পর প্রার্থীরা ওবিসি(এ) ক্যাটাগরিতে যোগ্যতা অর্জন করে। কিন্তু তাদের নিয়োগ করা হয় না। পুনরায় তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। গত ১৬ জানুয়ারি ২০২০ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন এই প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে। তা সত্ত্বেও তাদের নিয়োগ করা হয়নি। ফের প্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিক পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয় কিছু সমস্যার জন্য তাদের নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি তবে আদালত যদি নির্দেশ দেন তাহলে তারা অবিলম্বে নিয়োগ করবে। এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন ৩০ জনকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে।করোনা আবহে প্রতকূল পরিস্থিতির মাঝে চাকরি পেয়ে খুশি সেই চাকরিপ্রার্থীরা।