মুম্বই: চন্দ্রযান উৎক্ষেপণের মতোই মোদি-বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বৈঠককে ‘দাম্ভিক’দের মিলন বলে বিজেপি তাচ্ছিল্য করার জবাবও দিয়েছে কংগ্রেস। দলের লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, ইন্ডিয়া জোটের শক্তি দেখে ঘুম ছুটে গিয়েছে মোদিজির। বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্রকে আমার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর জন্য ঘুমের ওষুধের ব্যবস্থা করে রাখুন। মোদির পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ইন্ডিয়া।
জোটের বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আরব সাগরের তীরে অবস্থিত বাণিজ্যনগরী এখন রঙিন হয়ে উঠেছে বিভিন্ন দলের পোস্টারে। সব দলই তাদের নেতাদের মুখের বড় বড় ছবি দিয়ে ফ্লেক্স-ব্যানার টাঙিয়েছে। এছাড়াও জোটের নামেও বেশ কিছু ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মোদিকে প্রধানমন্ত্রী চান ১০ জনের মধ্যে ৮ জন, রাহুলকে পছন্দ ৬ জনের
এদিকে, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হারাতে বিরোধীরা জোটবদ্ধ হওয়ার সময়েও মোদির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মুখ নিয়ে নানা মুণির নানা মত উঠে এসেছে। আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের মতে, ইন্ডিয়া জোট থেকেই এবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল জোটে যোগই দিয়েছেন মুদ্রাস্ফীতি, বেকারি এবং দুর্নীতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে। অন্যদিকে, উদ্ধব ঠাকরের দলের ভিতর থেকেও বালাসাহেব-পুত্রকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য ব্যক্তি বলে দাবি উঠেছে। পাশাপাশি বিহারের জেডিইউ এবং আরজেডি নীতীশ কুমারকে ইন্ডিয়ার মুখ হিসেবে দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বৈঠক যেহেতু ডেকেছেন উদ্ধব ঠাকরে, তাই মুম্বই বিমানবন্দর তাঁর ছবি দিয়ে গেরুয়া পতাকায় মুড়ে দিয়েছে শিবসেনা। তাঁর গোষ্ঠীর লোকজন এনিয়ে যুক্তি হিসেবে বলেছেন, হিন্দুত্বই আমাদের দলের ভিত্তি। সব মিলিয়ে সন্ধ্যার মুখে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠককে ঘিরে সরগরম মুম্বইয়ের রাজনীতি।