ভোপাল: গো-বলয়ে ফের গো-হত্যার অভিযোগে পিটিয়ে খুন৷ বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে গো-হত্যার অভিযোগে দুই আদিবাসী যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল একদল গো-রক্ষকের বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ, জড়িতরা সবাই বজরং দলের সদস্য৷ গণপিটুনিতে আহত হয়েছে এক যুবক৷ আদিবাসী যুবকদের মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছে কংগ্রেস৷ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে তারা৷ যদিও তদন্তে নেমে পুলিস কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি৷ তবে আদিবাসী যুবকদের বাড়ি থেকে ১২ কেজি মাংস খুঁজে পেয়েছে তারা৷
ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের সিওনি জেলার৷ এফআইআরে বলা হয়েছে, সোমবার ভোররাতে আদিবাসী যুবকদের বাড়িতে হঠাৎ চড়াও হয় ১৫-২০ জনের একটি দল৷ দুই আদিবাসী যুবককে বাড়ি থেকে টেনে বের করে গণধোলাই দিতে থাকে৷ তাদের বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হন আরও এক আদিবাসী যুবক৷ কোনওক্রমে তিনি পালিয়ে বাঁচেন৷ কিন্তু বাকি দু’জন গুরুতর জখম হন৷ পরে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন৷
দুই আদিবাসী যুবকের মৃত্যুর খবর স্বীকার করে নিয়েছে পুলিস৷ জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার এসকে মারাভি বলেন, থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক৷ তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে৷ তবে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২-৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে কুয়ারাই থানার পুলিস৷
আরও পড়ুন: Raj Thackeray: রাজের হুঁশিয়ারির জের, মহারাষ্ট্রের সব পুলিসের ছুটি বাতিল
গো-রক্ষকদের মারে কোনওরকমে বেঁচে যাওয়া আদিবাসী যুবক ব্রজেশ বলেন, উত্তেজিত জনতা সম্পত বাট্টি এবং সিমারিয়াকে লাঠি দিয়ে মারধর করে৷ তিনি বাঁচাতে গেলে তাঁকে মার খেতে হয়৷ ঘটনার প্রতিবাদে কংগ্রেস বিধায়ক অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে জবলপুর-নাগপুর হাইওয়ে অবরোধ করেন কংগ্রেস কর্মীরা৷ তাঁর অভিযোগ, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বজরং দল৷ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানান তিনি৷ এর পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ এবং এক সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়ার দাবি জানান৷ টুইট করে ঘটনার নিন্দা করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ৷ তিনি উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানান৷
