চণ্ডীগড়: পঞ্জাবি গায়ক এবং কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালা খুনের ঘটনায় এক শার্প শুটারকে আগে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। মূল অভিযুক্তদের নাগালে পাওয়ায় চেষ্টা করছিল পুলিস । জগরূপ রূপা এবং মুন্না কুশা নামে দুই জনের নাম সামনে আসে। তাদের গ্রেফতার করতে যায় পুলিস। কিন্তু, তখনই তারা পাল্টা হামলা চালায় পুলিশের উপর। আত্তারি সীমান্তের কাছে একটি বাড়িতে লুকিয়ে পুলিসের উপর হামলা চালায় পুলিসের উপর৷ চার ঘণ্টার এনকাউন্টারে খতম হয়েছে সিধু মুসেওয়ালা খুনে জড়িত দুই সন্দেহভাজন৷
জনপ্রিয় পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার উপর দিন-দুপুরে গুলি চালানোর ঘটনায় চমকে উঠেছিল গোটা দেশ। ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে বন্দুকধারী রক্ষীও ছিল। গুরুতর আহত হন তাঁরাও। কমপক্ষে ২০টি বুলেট এই গায়কের দেহ ভেদ করেছিল। এরপরেই মৃত্যু হয় ওই গায়কের। মুসেওয়ালা মানসা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি আম আদমি পার্টির প্রার্থী বিজয় সিংলার কাছে ৬৩ হাজারেরও ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। মানসা জেলার মুসা গ্রামের বাসিন্দা মুসেওয়ালা গত বছর নভেম্বরে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। গুলি চালনার ঘটনায় আপকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। দিন কয়েক আগে পঞ্জাব পুলিস প্রাক্তন বিধায়ক, ডেরার প্রধান এবং পুলিস অফিসার সহ ৪২০ জনেরও বেশি মানুষের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের আদেশ দেয়। তার পরই এই ঘটনা।
সিধু মুসেওয়ালা খুনের অন্যতম অভিযুক্ত খতম এনকাউন্টারে৷
গুলি-বৃষ্টিতে সিধু মুসেওয়ালা খুনে ফের পুলিসের নজরে বিষ্ণোই গ্যাং। প্রায় ৭০০ সদস্য রয়েছে তার দলে। বিষ্ণোইসহ যাদের অনেকে দেশের বিভিন্ন জেলে সাজা খাটছে। মাত্র ২৯ বছর বয়সেই পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি ও হিমাচল প্রদেশ ছাড়াও কানাডা-সহ আন্তর্জাতিক মাফিয়া গ্যাং-লিডার। জেলের বাইরে থাকা বাকিরা এখনও বিভিন্ন রাজ্যের গায়ক-নায়ক, মদ ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের থেকে তোলা আদায়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: Basirhat: উত্তরাখণ্ডের বিচারপতির ফেসবুক হ্যাক, গ্রেফতার বসিরহাটের ছাত্র