মুম্বই: মহারাষ্ট্রে শিবসেনার ১৬ জন সাংসদ এনডিএর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন জানানোর আর্জি পেশ করলেন উদ্ধব ঠাকরের কাছে। সোমবার দলীয় সাংসদদের বৈঠক ডেকেছিলেন শিবসেনা প্রধান। সেখানেই সব সাংসদ দ্রৌপদীকে সমর্থনের প্রস্তাব দেন। পরে শিবসেনা সাংসদ গজানন কীর্তিকার বলেন, দ্রৌপদী যেহেতু একজন আদিবাসী মহিলা, তাই আমাদের তাঁকেই ভোট দেওয়া উচিত। কারণ, মহারাষ্ট্রের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনও হুইপ জারির বিষয় থাকে না। সাংসদরা তাঁদের ইচ্ছেমতো যাঁকে খুশি ভোট দিতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে উদ্ধবকে সাংসদদের প্রস্তাব মেনে নিতে হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এর আগে পর্যন্ত শিবসেনা বিরোধী জোটের সম্মিলিত প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকেই সমর্থনের কথা বলে এসেছে।
সাংসদদের এই প্রস্তাবে উদ্ধব আরও চাপে পড়ে গেলেন বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত। উদ্ধবের মূল অভিযোগ, বিজেপির মদতেই শিবসেনা বিধায়কদের মধ্যে ভাঙন ধরেছে। বিজেপি কলকাঠি নেড়েই উদ্ধবকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ। বিজেপরি বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই তোপ দেগেছেন উদ্ধব। একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বে যে নতুন সরকার হয়েছে মহারাষ্ট্রে, তাকে পিছন থেকে বিজেপিই চালাবে, এমনটাই দাবি উদ্ধব শিবিরের। তার মধ্যেই সাংসদদদের এই নতুন বায়নায় আরও বিড়ম্বনায় পড়লেন উদ্ধব।
মূলত জল মাপার জন্যই উদ্ধব এদিন সাংসদদের বৈঠক ডেকেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে শ্রীকান্ত শিণ্ডে-সহ ৬ সাংসদ বৈঠকে অংশ নেননি। এই মুহূর্তে শিবসেনার ১৯ জন লোকসভা সদস্য এবং তিনজন রাজ্যসভা সদস্য আছেন। অবশ্য দলের অন্দরে আগেই রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীকে সমর্থনের দাবি ওঠে। সাংসদ রাহুল শেওয়ালে ঠাকরেকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন সকলকে দৌপদীকেই ভোট দিতে বলেন। ঠাকরে ঘনিষ্ঠ শিবসেনা মুখপাত্র এবং সাংসদ সঞ্জয় রাউত সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই বৈঠক শেষে বেরিয়ে যান।