রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে লিখেছিলেন, ‘এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ, মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান’। ১৮৭০ সালের ৫ ই নভেম্বর বাংলাদেশের ঢাকা জেলায় জন্ম চিত্তরঞ্জন দাশের। শনিবার দেশবন্ধুর ১৫৩তম জন্মদিন পেরিয়ে গেল।
ব্যারিস্টার চিত্তরঞ্জন দাস ছিলেন অনুশীলন সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। মানিকতলা বোমার মামলায় প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছিল পরাধীন ভারতের ব্রিটিশ সরকার। চিত্তরঞ্জন দাশ মামলা লড়েছিলেন বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষের হয়ে। বিপ্লবী বারীন ঘোষ, উল্লাসকর দত্তদেরও ফাঁসির সাজা থেকে বাঁচিয়েছিলেন দেশবন্ধু।
আইন ব্যবসার রমরমা পসার ছেড়ে মহাত্মা গান্ধীর আহ্বানে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশ। অসহযোগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে কারাবরণও করেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের এলাহাবাদ ও গয়া অধিবেশনে সভাপতি ছিলেন তিনি। এছাড়া স্বরাজ দল প্রতিষ্ঠায় অন্যতম উদ্যোগী নেতা ছিলেন।
চিত্তরঞ্জন দাশ কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রথম বাঙালি মেয়র হিসেবে গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। স্বনামধন্য ব্যারিস্টার দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস ছিলেন দক্ষ সম্পাদক এবং কবিও।
আরও পড়ুন: TMC Wins: সুতাহাটার সমবায় সমিতির ভোটে ১২ আসনেই জয় তৃণমূলের, বড় ধাক্কা বাম, রামের
ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছরে চিত্তরঞ্জন দাশ দেশের মানুষের কাছে আজও প্রাসঙ্গিক। ১৯২৫ সালে মাত্র ৫৫ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হলেও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের পাতায় তিনি অমরত্ব পেয়েছেন, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।