বিজয়ওয়াড়া: যে কোনও সিনেমা পরিচালকের কাছে লোভনীয় কাহিনি হতে পারে। সাহসিনী, বীরাঙ্গনা— কোনও শব্দতেই তার গলায় বীরত্বের মালা পরানো যাবে না। এক অনন্য সাধারণ সাহসিকতার পরিচয় দিল ১৩ বছরের এক কন্যা। মায়ের প্রেমিক তাকে সেতু থেকে ছুড়ে ফেলে দিলেও প্লাস্টিকের পাইপ আঁকড়ে নিজেকে রক্ষা করল মেয়েটি। শুধু তাই নয়, এক হাতে পাইপ ধরে ঝুলে থাকা অবস্থাতেই সিনেমার দৃশ্যের মতো নিজের মোবাইল বের করে ১০০ ডায়াল ফোন করে পুলিশকে খবর দেয় কিশোরী। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করলেও তার মা ও এক বছর বয়সি খুদে বোনের এখনও খোঁজ মেলেনি।
মেয়েটির বয়ান অনুযায়ী পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার মায়ের পুরুষসঙ্গী তাদের তিনজনকে গোদাবরী নদীর উপর সেতু থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়। অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলায় ঘটনাটি ঘটে। গত রবিবার ভোররাতে তার মায়ের পুরুষসঙ্গী উলাভা সুরেশ তাদের তিনজনকে সেতুর পাঁচিলের ধার থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। ৩৬ বছর বয়সি মা ও এক বছরের বোন বর্ষার ক্ষিপ্র জলের তোড়ে তলিয়ে গেলেও কিশোরীটি রাবুলাপালেম গৌতমী সেতুর ধারে বৃষ্টির জল নিগর্মণের প্লাস্টিকের পাইপের সংযোগের কাছে পড়ে। আর তখনই পাইপকে আঁকড়ে ধরে মেয়েটি। ওইভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় সে পকেট থেকে মোবাইল বের করে ১০০ ডায়াল করে পুলিশের সাহায্য চায়।
আরও পড়ুন: ১০ ফুট তালা, ৪ ফুট চাবি, অযোধ্যা মন্দিরের জন্য উপহার আলিগড়ের বৃদ্ধের
পুলিশ জানিয়েছে, ভোররাত ৩টে ৫০ মিনিট নাগাদ আমরা একটি ফোন পাই। ১০ মিনিটের মধ্যে পুলিশের টহলদারি ফোন সেই জায়গায় পৌঁছে গিয়ে দেখে ওই কিশোরী ঝুলছে। তৎক্ষণাৎ তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। মেয়েটি পুলিশকে বলেছে, সুরেশ আমার মায়ের সঙ্গে থাকত। সে আমাদের রাজামহেন্দ্রবরমে নিয়ে গিয়েছিল। হঠাৎই সেতুর উপর সে গাড়ি থামায়। বলে সকলকে নিয়ে সেলফি তুলতে চায়। আমরা যখন পাঁচিলের ধারে দাঁড়াই, সে আচমকা ধাক্কা মেরে আমাদের সকলকে ফেলে দেয়। এই ঘটনার তদন্তে পুলিশ দুটি টিম গঠন করেছে। একটি দল নিখোঁজ মা-শিশুকন্যার তল্লাশি চালাচ্ছে। অন্য দলটি মূল অভিযুক্ত সুরেশের খোঁজ করছে।