এক বছর স্থগিত থাকার পর শুরু হচ্ছে ইউরো ২০২০। শনিবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে বারোটায় প্রথম ম্যাচে ইতালির সামনে তুরস্ক। এ গ্রূপের এই ম্যাচটি হবে রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে।
চার বারের বিশ্ব কাপ চ্যাম্পিয়ন ইতালি ২০১২ সালের ইউরো কাপের ফাইনালে উঠেছিল। সেবার তারা হেরে যায় স্পেনের কাছে। কিন্তু ২০১৬ সালের ইউরো কাপের প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে সেই স্পেনকেই তারা ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে যায় টাই ব্রেকারে। কিন্তু ২০১৮-র বিশ্ব কাপে ইতালি কোয়ালিফাই করতে পারেনি। এবার ইউরো কোয়ালিফাইংয়ে ইতালি দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। দশটি ম্যাচের দশটিতেই জিতেছে তারা। সত্যি কথা বলতে কী ২০১৮-র পর থেকে ইতালি কোনও ম্যাচে হারেনি। ২৭টি ম্যাচে তারা অপরাজিত। ইউরোর প্রস্তুতি পর্বের শেষ ম্যাচে তারা ৪-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে চেক প্রজাতন্ত্রকে।
ইতালির কোচ রবের্তো মানচিনি অ্যাটাকিং ফুটবল খেলতে ভালবাসেন। ৪-৩-৩ ছকে দলকে খেলান তিনি। তাঁর তিন ফরোয়ার্ড ডমেনিকো বেরাডি, সিরো ইমমোবাইল এবং লোরেঞ্জো ইনসিগনে গোলটা খুবই ভাল চেনেন। কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ম্যাচের পর ম্যাচ জিতিয়েছেন তাঁরা। ওঁদের পিছনে মাঝ মাঠে জর্জিনহো এবং লোকাতেল্লি ডিফেন্স এবং আ্যাটাকে এমন চমৎকার ভারসাম্য রাখতে পারেন যে ফরোয়ার্ডরা প্রচুর বল পান গোল করার জন্য। ডিফেন্সে বোনুচি এবং চিয়েলিনি ইতালি রক্ষণের স্তম্ভ। তাদেরকে টপকে গোল করা যে কঠিন সেটা ইউরোর কোয়ালিফাইং ম্যাচগুলোতে বোঝা গেছে।
প্রথম ম্যাচে ইতালি পাবে তাদের সমর্থকদের। উয়েফা এবারের ইউরোতে গ্যালারিতে দর্শকদের প্রবেশাধিকার বজায় রেখেছে। ঘরের মাঠে এই সমর্থকরা ইতালির বিরাট ভরসা। তুরস্ক এর আগে যে চারবার ইউরো কাপে খেলেছে তারা প্রথম ম্যাচেই হেরেছে। এবারও কি তারা হারবে? তাদের কোচ সেনোল গানেস বলেছেন, “আমরা রোমে মাঠে নামব ড্র করার জন্য নয়। তবে জিতব কি না জানি না আমাদের লক্ষ্য ভাল ফুটবল খেলে দর্শকদের মন জয় করা। আমাদের ছেলেরা সেভাবেই তৈরি হয়েছে। জেতা-হারা নিয়ে আমরা খুব বেশি চিন্তিত নই।” ইতালির কোচ মানচিনি অবশ্য জেতা ছাড়া কিছু ভাবছেন না। বলেছেন, “কোয়ালিফাইং রাউন্ডের ফলই আমরা মূল পর্বে আনতে চাই। তখন দশটা ম্যাচের দশটাতেই জিতেছিলাম। এবার প্রথম ম্যাচ থেকেই জিততে চাই। তবে কাজটা খুব সহজ নয়। তুরস্ক খুবই লড়াকু টিম। ওদের ডিফেন্স বেশ শক্তপোক্ত। তবে আমাদের ফরোয়ার্ড লাইন গোলের মধ্যেই আছে। আশা করি জিতেই মাঠ ছাড়তে পারব।”