আন্তর্জাতিক মহলের মানবাধিকারকর্মীদের নিষেধ সত্ত্বেও চতুর্থ দফার রোহিঙ্গাদের মায়ানমার থেকে দূরবর্তী এক দ্বীপে পাঠানো হল। মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের এই চতুর্থ দলকে বঙ্গোপসাগরের দ্বীপে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।
মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উদ্বাস্তুদের নিজেদের দেশে স্থান দিয়েছিল বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা নিয়ে মায়ানমারের সমস্যা দূর হয়নি এখনও। বাংলাদেশের কক্সবাজারে প্রায় ২ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু ছিলেন। সেখান থেকেই তাদের মায়ানমারের দূরবর্তী এক দ্বীপে পাঠাল বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। ভাসানচর দ্বীপে রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকতে পারবেন প্রায় ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু।
ডিসেম্বর থেকেই মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের দ্বীপে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দফায় প্রায় ৭ হাজারের কাছাকাছি রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের দাবি, ওই দ্বীপে ভালই ভাবেই থাকতে পারবেন রোহিঙ্গারা। সেখানে তাদের থাকার সব রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিনযাপনে কোনও রকম সমস্যা হবে না তাদের। যদিও মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন এভাবে রোহিঙ্গাদের দ্বীপে স্থানান্তরীত করে মোটেই ভাল কাজ করেনি বাংলাদেশ। তাদের দাবি অনেক ক্ষেত্রেই রোহিঙ্গাদের মর্জির বাইরে গিয়ে তাদের জোর করে দ্বীপে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রীতিমতো নৃশংসতার পরিচয় দিয়েছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহলের মানবাধিকার কর্মীরা।
রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের দায়িত্ব শেষমেশ মায়ানমার সরকারই নিক, এমনই চায় বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মহলকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মায়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর অনুরোধও করেছে বাংলাদেশ। আপাতত প্রায় ১১২ মিলিয়ন ডলার খরচ করে দ্বীপ বানিয়েছে বাংলাদেশ নেভি। মাত্র ২০ বছরের পুরনো ভাসানচরে এতদিন কেউই বাস করতেন না। তবে এখন সেখানে গড়ে উঠেছে হাসপাতাল, মসজিদ, বসতবাড়ি। বন্যা আটকানোর সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ভাসানচরে ঝড়ের সম্ভাবনা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল আন্তর্জাতিক মহল। যদিও সেসবে কান দিচ্ছে না বাংলাদেশ প্রশাসন।