মঙ্গলবার হেস্টিংসের নির্বাচনী পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন না মুকুল রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিজেপির প্রথম সারির নেতৃত্ব। দলীয় কাজে দিল্লিতে থাকায় বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি শুভেন্দু অধিকারী।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ও পরে বারবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপির নেতাদের। কখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে, কখনও বা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে নেতা বা বিধায়ক ভাঙিয়ে টিকিট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে বিজেপির মুরলীধর সেনের অফিস অথবা হেস্টিংসের বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়। নির্বাচনের পরে বিভিন্ন জায়গায় দলীয় সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে স্বয়ং দিলীপ ঘোষকে। নির্বাচনের আগে ও পরে শৃঙ্খলা নিয়ে তেমন কোনও কথা না বললেও, এবার বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠন করল বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব।শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠনের শুরুতেই শৃঙ্খলা ভাঙলেন দলীয় নেতারা। এরই মধ্যে মুকুল রায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে তাঁর বক্তব্য ও দিলীপ ঘোষের বক্তব্যর মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখা গেছে। মঙ্গলবারের পর্যালোচনা বৈঠকে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেই শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির মাথায় আছেন বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার, কমিটির অপর দুই সদস্য বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, রথীন ঘোষ।
মুকুল রায় অনুপস্থিত হওয়া নিয়ে দলের অভ্যন্তরে এরই মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। মুকুল রায় নিজেই জানিয়েছেন এদিনের হেস্টিংসের পর্যালোচনা বৈঠকে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, এরপর তিনি আরও জানিয়েছেন বর্তমানে তিনি মনঃকষ্টে আছেন। যদিও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন সকলের মতো তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৈঠকের শুরুতেই পর্যালোচনা আগেই তাল কাটলো দলীয় নেতৃত্বের। দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সে সম্বন্ধে কোন খবরই ছিল না রাজ্য সভাপতির কাছে। দাবি দিলীপ ঘোষের। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে পিছপা হলেন না তিনি । সব মিলিয়ে বিজেপির অন্দরের ছন্নছাড়া ছবিটা স্পষ্ট, বলছে রাজনৈতিক মহল।