চেক প্রজাতন্ত্র–২ স্কটল্যান্ড–০
(প্যাট্রিক শিক)
বেয়ার লেভারকুশেনের স্ট্রাইকার তিনি। বয়স বছর পঁচিশ। দশ নম্বর জার্সিধারী চেক প্রজাতন্ত্রের এই ফুটবলারটিকে বহির্বিশ্বে যে খুব একটা লোকে চিনত তা বলা যাবে না। তবে সোমবার থেকে প্যাট্রিক শিককে চেনাবার জন্য স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর একটা গোলই যথেষ্ট। তখন ম্যাচের বয়স ৫২ মিনিট। মাঝ মাঠ পেরিয়েই প্যাট্রিক দেখতে পেলেন স্কটিশ গোলকিপার মার্শাল পেনাল্টি বক্সের সামনে চলে এসেছেন। পেছনে অনেক দূরে গোল লাইন। প্রায় পঞ্চাশ গজ দূর থেকেই বাঁ পায়ের উঁচু শট। স্কটিশ গোলকিপার পিছোতে পিছোতে গোল লাইন অতিক্রম করে জালে গিয়ে পড়লেন। কিন্তু ততক্ষণে দলের যা সর্বনাশ হওয়ার হয়ে গেছে। এবারের ইউরোতে এখন পর্যন্ত সেরা গোল বলা যেতে পারে প্যাট্রিকের এই গোলটিকে।
৪২ মিনিটে এই প্যাট্রিকই এগিয়ে দেন তাঁর দেশকে। কর্নার থেকে বল পেয়ে ভ্লাডিমির কৌফল ক্রসটা রেখেছিলেন একেবারে ছয় গজের বক্সের উপর। এক গাদা ডিফেন্ডারের মাথা টপকে হেডে চমৎকার প্লেসিংয়ে মার্শালকে অপ্রস্তুত করে চেকদের এগিয়ে দিলেন প্যাট্রিক শিক। গ্লাসগোর হ্যাম্পডেন পার্কে প্যাট্রিকের এই জোড়া গোলেই চেকরা তিন পয়েন্ট পেল। এই ডি গ্রূপে আছে ইংল্যান্ড এবং ক্রোয়েশিয়া। এই জয় হয়তো চেকদের নক আউটে যেতে সাহায্য করবে।
স্কটল্যান্ড তেইশ বছর পর কোনও টুর্নামেন্ট খেলার যোগ্যতা অর্জন করল। কিন্তু নিজেদের মাঠে সেই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে পারেনি। গোল করার সুযোগ তারাও পেয়েছিল। তাদের অধিনায়ক অ্যান্ডি রবার্টসন নয় নয় করে ছয়টি গোলের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। এর যে কোনও একটি থেকে গোল হলে ম্যাচের ফল অন্য রকম হতেও পারত। তবে প্যাট্রিক শিক যে গোল করেছেন তা অবিস্মরণীয়। চেকরা কত দূর যাবে তা সময়ই বলবে। কিন্তু শিকের গোলটা চেকদের ফুটবল ইতিহাসে রূপকথার কাহিনী হয়ে রইল।