বুধবার নারদকাণ্ডে রাজ্যের ৪ নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন ও পূর্বের রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদনের ভিত্তিতে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আপাতত কয়েক ঘন্টার জন্য পিছিয়ে গেল সেই শুনানি পর্ব। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হওয়ার কথা ছিল এই শুনানির। কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে তা করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে হাই কোর্টের তরফে বলা হয়, বেলা ১২টা নাগাদ শুনানি ফের শুরু হবে। এরই মধ্যে সিবিআই আইনজীবী জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকে এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। তাই এই মামলায় তাঁদের উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। সিবিআইয়ের আইনজীবীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা ও অভিষেক মনু সিংভি আদালতের কাছে সময় চান। এর প্রেক্ষিতে আদালত দুপুর ২ টোয় শুনানি শুরু হবে বলে জানান। অপরদিকে আদালত সূত্রে জানা গেছে, এদিন সিবিআইয়ের তরফে আদালতে পেশ করা পিটিশনে এই ৪জনের জেল হেফাজতের বদলে সিবিআই হেফাজতের দাবি জানান হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যদের বিরুদ্ধে সোমবার গ্রেফতারির সময় উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। হাই কোর্ট সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ৪০৭ নম্বর ধারায় মামলা অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যেতে চায় সিবিআই। কারণ হিসাবে আদালতে তাদের আবেদনে সিবিআই জানিয়েছে, বাংলায় মামলাটি প্রভাবিত হতে পারে। একইসঙ্গে সিবিআইয়ের তরফে এই আবেদনে যুক্ত করা হয়েছে সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সিবিআইয়ের অভিযোগ, সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে গোলমাল করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।