কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের বাড়িতে তল্লাশি করল পুলিশ৷ রবিবার সন্ধেয় তদন্তকারীরা দেবাঞ্জনকে সঙ্গে নিয়ে মাদুরদহে যান।কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দফতরের ৬-৭জন আধিকারিক অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেন৷ নেতৃত্বে ছিলেন স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং টিমের আধিকারিক বিশ্বজিৎ সরখেল৷ টানা ২ ঘন্টা দেবাঞ্জনের বাড়িতে তল্লাশির পর ভুয়ো ভ্যাকসিন মামলায় বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
আরও পড়ুন তদন্তে সিট, দেবাঞ্জনের ৩ শাগরেদ গ্রেফতার
হেফাজতে নেওয়া হয় দেবাঞ্জনের ব্যবহৃত কম্পিউটার৷ তল্লাশি চালিয়ে নকল সরকারি স্ট্যাম্প, কসবা অফিসের জাল নোটপ্যাড ও পুরসভার কিছু জাল নথি উদ্ধার করা হয়েছে। কিছু জাল মেডল ও ভুয়ো ‘বঙ্গভূষণ’ ফলক বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা৷ অভিযোগ, তল্লাশি চলাকালীন কসবার অফিসে একটি ঘরের চাবি দিতে অস্বীকার করেন অভিযুক্ত৷ দেবাঞ্জন গোয়েন্দা আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন৷ কসবার অফিসের ওই ঘর থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলবে বলে মনে করেছেন গোয়েন্দারা। পুলিশি তদন্তে অসহযোগিতা করায় ফের তাঁকে নিয়ে কসবার অফিসে তল্লাশিতে যেতে পারেন তদন্তকারীরা৷
আরও পড়ুন দেবাঞ্জনের ফ্রিজারে অ্যামিকাসিনের ভয়েল
পুলিশ সূত্রের খবর, দেবাঞ্জনের ভুয়ো ভ্যাকসিনের অধিকাংশ কর্মকাণ্ডই চলত মাদুরদহের ওই বাড়ি থেকে৷ রবিবার তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। খতিয়ে দেখা হয় দেবাঞ্জনের যাবতীয় নথিপত্র৷ দেবাঞ্জনের দাবি, সিটি কলেজ ও কসবা এই দুই জায়গাতেই টিকাকরণের শিবির করেছিলেন তিনি৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মোট ৮টি ব্যাঙ্কে তাঁর অ্যাকাউন্ট ছিল তাঁর৷ একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে কী কী আর্থিক লেনদেন চলত তা খোঁজ নিতে শুরু করেছে পুলিশ।
| রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি |
|---|---|---|---|---|---|---|
| ১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
| ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
| ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
| ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
| ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | |||
