আরামবাগ: গত বৃহস্পতিবার ওড়িশার (Odisha) কেওনঝরে (Keonjhar) শিল্প পরিদর্শন করতে গিয়ে ঝরনায় তলিয়ে যান আশুতোষ কলেজের (Ashutosh College) এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের (Environmental Scicence) স্নাতকোত্তরের (Msc) তৃতীয় সেমেস্টারের ছাত্র তারাশঙ্কর সরকার। নিখোঁজ ছাত্রের দেহ উদ্ধার করতে নামানো হয় এনডিআরএফএর কর্মীদের। দীর্ঘ দু’দিন ধরে উদ্ধাকার্য চালানোর পর শনিবার বেলায় তার দেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত ছাত্রে পরিবারের পক্ষ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এবং যে বন্ধুটি তাঁকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। তিনি জানান, এখনও মৃত্যুর খবর বাবা মা ও দাদুকে জানানো হয়নি। নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েই তাঁরা অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। এমনকী সাংবাদিকদেরও তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কারণ তারা শংকরের মৃত্যুর খবর বাড়িতে জানানোই হয়নি এখনও।
আরও খবর: গোঘাটে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ গ্রামবাসীদের
প্রসঙ্গত, আশুতোষ কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার মানস কবি জানিয়েছেন, অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের স্নাতকোত্তরের পড়ুয়াদের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী শিল্প-কারখানা পরিদর্শন করতে হয়। তাই গত ২১ নভেম্বর ৩৮ জনের একটি ছাত্রছাত্রীদের দল পাঁচ জন অধ্যাপক সহ ওড়িশার কেওনঝরে ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট করতে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় তাঁদের ওড়িশা থেকে ট্রেন ছিল কলকাতায় ফেরার। তার আগে গাড়িতে স্টেশনে আসার সময় একটি ঝরনা দেখতে পেয়ে সেখানে তারাশঙ্কর সহ অন্যান্য পড়ুয়ারা দাঁড়ান।
তিনি আরও বলেন, তারাশঙ্করের ইউটিউব ভিডিও বানানোর নেশা ছিল। সে তার অপর এক বন্ধুকে নিয়ে ঝরনার পাথরের উপর ছবি তোলার সময় হঠাৎ করে দুজনেই পা পিছলে পড়ে যায় বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। এরপর তৎক্ষণাৎ গাড়ির ড্রাইভার সহ অন্যরা জলে ঝাঁপানোর জন্য ছুটে আসে। সেই সময় অরিজিৎ চট্টোপাধ্যায় নামে একজন অধ্যাপকের পা ভেঙেছে বলে জানান অধ্যক্ষ। অপর ছাত্রকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করা গেলেও তারাশঙ্কর সরকারকে উদ্ধার করতে পারেননি তাঁরা। তারপর পুলিশ ও তারাশঙ্করের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। কলকাতা থেকে আরো ৩ জন অধ্যাপক কেওনঝরে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। এখনও তাঁর খোঁজে উদ্ধারকারী দল তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ মানস কবি। ছাত্রের এই দুর্ঘটনার ঘটনায় শোকাহত পড়ুয়া থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ।