টিকার আকাল রাজ্যে। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় বুধবার কলকাতায় বন্ধ কোভিশিল্ডের টিকাকরণ। কলকাতার স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ১৮টি মেগা সেন্টার গুলিতে বুধবার কোভিশিল্ড টিকা দেওয়া হচ্ছে না। তবে কলকাতার ৮১টি কেন্দ্রে আজ কোভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। টিকার জোগান কম থাকায় ফের রাজ্যে টিকাকরণে ধাক্কা।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণই একমাত্র অস্ত্র। মারণ ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে দেশজুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচিতে গতি আনতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু চাওয়ার সঙ্গে তৎপরতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। প্রতি রাজ্যে টিকার জোগান পর্যাপ্ত না থাকায় ব্যহত হচ্ছে গণ টিকাকরণ কর্মসূচি। একই ছবি এরাজ্যেও। পুণের সেরাম ইন্সটিটিউট বানাচ্ছে কোভিশিল্ড। করোনার এই টিকা ফর্মুলা আবিস্কার করেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকা। সেই টিকাই ভারতে তৈরি করছে সেরাম। তবে রাজ্যে কোভিশিল্ড টিকার জোগান পর্যাপ্ত নেই। সেই কারণেই বুধবার শহর কলকাতায় কোভিশিল্ড টিকা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। সোমবারই করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ২১ জুন থেকে সব রাজ্যকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেকের জন্য বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২১ জুন সোমবার থেকে ১৮ উর্ধ্বরাও একেবারে বিনামূল্যে টিকা পাবেন। রাজ্য গুলিকেও আর প্রতিষেধক কিনতে হবে না। কেন্দ্র ভ্যাকসিন কিনে সরবরাহ করবে রাজ্যকে। গরিব, মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সকলকেই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে যাঁরা ফ্রিতে ভ্যাকসিন নিতে চান না, তাঁদের জন্যও আলাদা ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। ভ্যাকসিনের ২৫ শতাংশ যাতে বেসরকারি হাসপাতাল পেতে পারে সে ব্যবস্থাও জারি থাকবে। এক্ষেত্রে এক ডোজের জন্য সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে বেসরকারি হাসপাতাল। এদিকে রাজ্যর করোনা গ্রাফ অবশ্য নিম্নমুখী। মঙ্গলবার সন্ধ্যে বেলায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা রাজ্যে একদিনে মারণ ভাইরাস করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৪২৭ জন। তার মধ্যে শুধু মাত্র উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৮১ জন। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে প্রথম স্থানে সেই উত্তর ২৪ পরগনা।
তবে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা হলেও কমেছে সংক্রমণের সংখ্যা। গত একদিনে সংক্রমিত হয়েছিলেন ১ হাজার ১০৯ জন। তারপরেই রয়েছে তিলোত্তমা কলকাতা। সেখানে কমছে সংক্রমণের হার। একদিনে কলকাতায় ৫২৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের হদিশ মিলেছে।