অবশেষে পদ্মের পাপড়ি ঝরিয়ে তৃণমূলের ঘাসফুলে ফুটলেন মুকুল রায়। শুক্রবার দুপুরে পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের সঙ্গে তিনি পৌঁছোন তৃণমূল ভবনে। মমতার ঘরে ঢোকার সময় মুকুল বলেন, ‘ ভুল হয়ে গেছে’। সেখানে তখন উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের শীর্ষনেতারা এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রথমে মুকুল রায়ের সঙ্গে দলীয় বৈঠক করেন মমতা। তারপর দুপুর ৪টে ৪০ মিনিট নাগাদ আনুষ্ঠানিক ভাবে ফের একবার তৃণমূল দলে যোগ দিলেন মুকুল। তাঁর গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে তাঁকে দলে বরণ করে নেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর শুরু হয় সাংবাদিক বৈঠক। এদিন মুকুল বলেন, এই দলে যোগ দিয়ে আবারও বহু পুরোনো সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হল। সঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘বাংলা আবার তার নিজের জায়গায় ফিরবে।’ দলনেত্রী হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসাও করেন মুকুল।
কেন ছাড়লেন বিজেপি, সাংবাদিকরা এই প্রশ্ন করলে মুকুল রায় বলেন, ‘বিস্তারিত ভাবে বলব যে কেন আজকে ঘরে ফিরেছি। কেন সবার সঙ্গে বসেছি, মিশেছি, কথা বলছি। এটার একটা বিস্তারিত জবাব আছে। সেই বিস্তারিত জবাব লিখিত ভাবে আপনাদের দেব।’ এরপর তিনি বলেন, বিজেপি করবেন না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মুকুল রায় আসার ফলে দল কতটা শক্তিশালী হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই প্রশ্ন করা হলে তাঁর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁদের তৃণমূল দল শক্তিশালী ছিল এবং থাকবে। মুকুলের ব্যাপারে তিনি বলেন, মুকুল রায়কে অনেক এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। ওর শরীরটাও ভালো নেই। ও মনোকষ্টে ভুগছিল। তবে তিনি মনে করেন, তৃণমূলে যোগ দিয়ে মুকুল রায় নিজের মানসিক শান্তি ফিরে পেলেন। এই সব কিছুর সঙ্গে মমতা জানিয়ে দেন, বিধানসভা নির্বাচনের সময় তাঁর দলের যে সকল কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে গদ্দারি করেছিলেন, তাদের আর তৃণমূলে ফেরাবেন না তিনি। এটা দলেরই সিদ্ধান্ত যে, সেই সব গদ্দারদের জন্য এই দলের দরজা পাকাপাকি ভাবেই বন্ধ হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে মুকুল রায় নির্বাচনের সময় দলবিরোধী একটা কথাও বলেননি, বলে জানান মমতা।