কৃষিকাজই তাঁদের একমাত্র ভরসা। সেখান থেকে তাঁদের রুটি রোজগার। কিন্তু সেই ভরসার রোজগারের ওপর কেন্দ্রীয় সরকার চাপিয়ে দিল কৃষি আইন। ফলে নয়া ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে শুরু হয়েছে কৃষক আন্দোলন। যেখানে যোগ দেন দেশের হাজার হাজার কৃষকরা। সেই আন্দোলনের প্রভাব পড়েছিল সুদূর বিদেশ পর্যন্ত। দিল্লিতে প্রবেশের প্রায় সকল সড়ক পথগুলিকে বন্ধ করে দিয়ে দিনরাত এক করে চলেছিল আন্দোলন। পঞ্জাব, সুরাট, হরিয়ানা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, দেশের কৃষিপ্রধান রাজ্যগুলি থেকে শয়ে শয়ে কৃষকরা এসে সামিল হন এই আন্দোলনে। বিরোধী দলের বহু প্রতিনিধি গিয়ে দেখা করেন কৃষকদের সঙ্গে। আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বদ্ধপরিকর সহস্র কৃষক প্রতিকূল আবহাওয়ার তোয়াক্কা না করে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন সেই আন্দোলন। কেউ ট্রাকের মধ্যে, কেউ আবার খোলা আকাশের নিচে, দিল্লি সীমান্তে অবস্থান করে চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলন। শীতের মরশুম পেরিয়ে চলে এল গ্রীষ্ম। পেরিয়ে গেছে ৭টা মাস। সেই ৭ মাসের উদযাপন হবে আগামী ২৬ জুন। শুক্রবার কৃষক সংগঠনগুলির তরফে দেওয়া বিবৃতিতে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কৃষক আন্দোলনের ৭ মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে ২৬ জুন সারা দেশে কৃষকরা ধর্ণার বসবেন। শুধু তাই নয়, ধর্ণার জন্য প্রত্যেক রাজ্যের রাজভবনগুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসবেন কৃষকরা। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, ওই দিন কালো পতাকা দেখিয়ে প্রতিবাদ জানাবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁরা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে একটি দাবিপত্র পেশ করবেন তাঁরা। এই কৃষক সংগঠনের নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং জানিয়েছেন, ২৬ জুনের দিনটিকে তাঁরা ক্ষেতি বাঁচাও, লোকতন্ত্র বাঁচাও দিবস হিসাবে পালন করবেন।