হুগলি: এবার কাঠগড়ায় পিজি হাসপাতালের (SSKM Hospital) স্বাস্থ্য পরিকাঠামো! ফের রেফারের শিকার (Referred victim Boy) জাঙ্গিপাড়ার ১১ বছরের নাবালক। জাঙ্গিপাড়া থানার বোমনগরের বাসিন্দা রুদ্র কর্মকার। সময় মত চিকিৎসা না পেলে সারা জীবনের মত পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ওই নাবালকের। গত ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার বাড়িতে দোলনায় খেলার সময় পরে গিয়ে শিরদাঁড়ায় চোট পায় ১১ বছরের রুদ্র। প্রথমে জাঙ্গিপাড়া হাসপাতালে (Jangipara Hospital) ভর্তি করার পর সিঙ্গুর হাসপাতাল। এরপর শ্রীরামপুর ওয়ালস ভর্তি করা হয় কিন্তু কোনও নিউরো সার্জেন না থাকায় মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছে। মেডিক্যাল থেকে তাকে পাঠানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। পিজির সামনে চিকিৎসার আসায় ছেলেকে নিয়ে রাত কাটিয়ে দেন মা ছবি কর্মকার।
এদিকে তড়িঘড়ি অপারেশন না করলে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে ছেলে। এই ভয়ে পিজতে ভর্তি করানোর অনেক চেষ্টা করেন মা ছবি কর্মকার। কিন্তু পিজি থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় কোনও বেড নেই। ছবি কর্মকারের অভিযোগ, অনেকেই টাকা দেওয়ার কথা বলছিলেন। টাকা দিলেই নাকি ভর্তি করা যাবে পিজিতে। দিন মজুর পরিবার টাকা কোথায় পাবেন তাই বাধ্য হয়েই ফিরতে হয় ছেলেকে নিয়ে। যদিও পিজি থেকে নাকি এন আর এসে রেফার করা হয়। এত ঝক্কি সামলে কোথায় চিকিৎসা করাবেন ছেলের এক প্রকার দিশেহারা হয়ে পড়েন মা ছবি কর্মকার।
আরও পড়ুন: শীতের শুরুতে সুন্দরবনের জলাশয়ে ভিড় জমিয়েছে পরিযায়ী পাখিরা
এক আত্মীয়র কোথায় সোজা ছেলেকে নিয়ে চলে আসেন তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙার একটি ছোট্ট নার্সিংহোমে। সেখানে চার জন চিকিসকের দল গঠন করে তরিঘড়ি অপরেশনের ব্যবস্থা করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। মানবিকতার খাতিরে এক প্রকার বিনা অর্থে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে নাবালকের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেয় তারকেশ্বরের চাঁপা ডাঙ্গা এলাকায় অবস্থিত নার্সিং হোমটি। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সরকারি হাসপাতাল গুলিতে কি সঠিক পরিকাঠামোর অভাব নাকি দালালদের টাকা দিলে তবেই মিলবে চিকিৎসা?
উল্লেখ্য দিন দুই আগেই সরকারি হাসপাতালে বেড না পেয়ে এক প্রকার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছিল হরিপালের এক যুবকের।আবার একবার বেআব্রু হয়ে পড়লো এ রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা।