করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে বেসামাল দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। তারই মধ্যে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজের সমন্বয়কারী বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতার গ্রুপ ছাড়লেন শাহিদ জামিল। এর পাশাপাশি তিনি ইন্ডিয়ান সারস কোভ-২ জেনোমিক্স কনসোর্টিয়াম (INSACOG) এর প্রধানের পদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সারস কোভ-২ এবং এর একাধিক ভ্যারিয়েন্টের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ দ্রুততার সঙ্গে করার জন্য বৈজ্ঞানিক সংস্থা হিসাবে চলতি বছর জানুয়ারিতে INSACOG প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই কনসোর্টিয়ামটি সারা দেশ থেকে ভাইরাস নমুনার জিন সিকোয়েন্সিং পরিচালনার জন্য দশটি শীর্ষস্থানীয় পরীক্ষা কেন্দ্রকে নিয়ে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে। কনসোর্টিয়ামটিকে প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের মেয়াদ দেওয়া হয়, তবে পরে সেই সময় আরও বৃদ্ধি করা হয়।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এই মর্মে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। এই সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে অতিমারি প্রসঙ্গে বিজ্ঞানী শহিদ জামিল সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ভাইরাসটির বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারের সমালোচনাও করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘জানুয়ারিতে অতিমারিটি শেষ হয়ে গিয়েছে এই তথ্য না জেনেই তা মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। সরকারি কর্তৃপক্ষ আগেই বিশ্বাস করে ভুল করে।’ সম্প্রতি তিনি নিউইয়র্ক টাইমসেও লেখেন, ‘পরীক্ষা বৃদ্ধি, আইসোলেট করার ওপর জোর দেওয়া হয়। তিনি এও বলেন যে এই সব পদক্ষেপে ভারতে আমার সহবিজ্ঞানীদের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। তবে তাঁদের ওপরেও চাপ রয়েছে। ভারতে মহামারী নিয়ন্ত্রণ বাইরে চলে যাওয়ার কারণে তথ্যের ভিত্তিতে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া।’