মুখ্যসচিবের পদ থেকে অবসর নিলেও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে শো-কজ নোটিশ পাঠাল কেন্দ্র! যার জবাব জবাব দিতে হবে তিনদিনের মধ্যে। কলাইকুন্ডায় প্রধানমনত্রীর ডাকা বৈঠকে কেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেননি, তা জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আন্ডার সেক্রেটারি আশিস কুমার সিং সরাসরি চিঠি পাঠালেন আলাপনকে। চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে, গত শুক্রবার কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যশ পর্যালোচনা বৈঠকে কেন উপস্থিত ছিলেন না আলাপন? প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের প্রধান। তাঁর বৈঠকে উপস্থিত না থেকে আলাপন যা করেছেন তা বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৫১ ধারা ভঙ্গের শামিল। সেই ধারা অনুযায়ী কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা তিনদিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে হবে। পাশাপাশি চিঠিতে এও বলা হয়েছে, যে ঘরে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল সেখানে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীরা রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের পৌঁছনোর জন্য ১৫ মিনিট অপেক্ষা করেন। তারপরে মুখ্যমন্ত্রী ও তৎকালীন মুখ্যসচিব অর্থাৎ আলাপন সেখানে পৌঁছন এবং সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে যান। এই কাজের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে চিঠিতে। সশরীরে দিল্লিতে গিয়ে সেটা জানাতে হবে তাঁকে৷ এখনও পর্যন্ত আলাপন ওই শো কজ নোটিশ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে নবান্ন সূত্রের খবর, তিনি যথাবিহিত ওই চিঠির জবাব দেবেন।
সোমবার নর্থ ব্লকে কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তিনি দিল্লি যাননি। বরং মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে ছিলেন। নির্ধারিত সময় দিল্লিতে কাজে যোগ না দেওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শো-কজ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এদিন নিজের কর্মজীবন থেকে অবসর নেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পদে তাঁকে নিযুক্ত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ জুন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য উপদেষ্টা পদে নতুন কর্মজীবন শুরু করছেন তিনি। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের শোকজ করল কেন্দ্র৷ জানতে চাওয়া হল যশ নিয়ে কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কেন তিনি অনুপস্থিত ছিলেন?