ইংল্যান্ড এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। কোহলি ব্রিগেড যাবে সেখানে প্রথম আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে। তারপর সেখানে হবে ইংল্যাণ্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টের সিরিজ। এই টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই নানান জল্পনা তুঙ্গে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের মাঝে থাকা বিশ্রামের দিন নাকি কমিয়ে ফেলা হবে।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, ক্রীড়াসূচিতে এখনও কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি। ভারতীয় বোর্ড কোনও অনুরোধ পাঠায়নি। আসলে ভারতীয় বোর্ডের এখন প্রধান লক্ষ্য, যেন তেন প্রকারেন আইপিএলের বাকি ম্যাচ শেষ করে স্পন্সরের থেকে পুরো অর্থ ঘরে তোলা। টুর্নামেন্টটি শেষ না করতে পারলে ভারতীয় বোর্ডের ক্ষতি হয়ে যাবে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা।
বিপদ মাথাচাড়া দিচ্ছে ইংল্যান্ডের বেশ কিছু সিদ্ধান্তে। যেমন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ঠিক করেই ফেলেছে, ওদের দেশের আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সূচিকে গুরুত্ব দিতে এরপর আইপিএলে আর ক্রিকেটার ছাড়া হবেনা। সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান আর অক্টোবরে বাংলাদেশ সফর হলে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের আইপিএলে খেলতে আর ছাড়বে না। অর্থাৎ কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক মরগ্যানই আর পরের ম্যাচগুলোতে খেলতে পারবেন না। এমন কথা শোনা গেছে, ইংল্যান্ড বোর্ডের পুরুষ দলের ডিরেক্টর , প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যাশলে জাইলস।
ভারতীয় বোর্ড আবার আইপিএল শেষ করতে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবরের একটা গ্যাপ বের করতে চাইছে। নভেম্বর মাসের শেষে আবার ভারতে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কথা।
জুনে মাসের ২ থেকে ১৪ দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে নামছে। এই সিরিজের জন্য আইপিএলে খেলতে থাকা ক্রিকেটারদের আগে থেকেই ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কারণ আগে থেকে ক্রিকেটাররা আইপিএল চুক্তিবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন টুর্নামেন্টটি মাঝপথে করোনা প্রকোপে বন্ধ হয়ে যাওয়া তে ক্রিকেটাররা ইংল্যান্ডে ফিরে গেছেন। ইংল্যান্ড গুরত্ব দিচ্ছে, ভারতের বিরুদ্ধে হোম সিরিজকে। গুরুত্বও দিচ্ছে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে। তারপর আছে অ্যাশেজ সিরিজ। যা শুরু হবে, ৮ ডিসেম্বর। এরপর আবার ইংল্যান্ডের ওয়ান ডে সিরিজের লড়াই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। যা জানুয়ারি থেকে শুরু। অর্থাৎ পরের বছরের আইপিএল পর্যন্ত বেজায় ব্যস্ত থাকতে হবে ইংল্যান্ডের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের।
ভারতীয় বোর্ড কর্তারা ( বিশেষ করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং জয় শাহ, সভাপতি ও সচিব) আলাদা করে কথাবার্তা বলে চলেছেন ব্যক্তিগত স্তরে। ২৯ মে মুম্বইয়ে বিশেষ সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই সভার জন্য স্বয়ং হাজির হচ্ছেন মুম্বই। কারণ বোর্ড এর অনেক ইস্যু নিয়ে আলোচনা রয়েছে। ওই সভার পর আইসিসি মিটিং আছে ভিডিও কনফারেন্স করে। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে যে সভা উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আইপিএলের বাকি ৩১ টি ম্যাচ বিসিসিআই আরব আমির শাহিতে করার কথা ভাবছে। মরু শহরের ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য আগে থেকেই এই আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। তারা ইতিমধ্যে পাকিস্তানের ঘরোয়া টি টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করছে।
পরিস্থিতি যা তাতে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি আবার শুরু করা হলে তাতে ইংল্যান্ডের জাতীয় ক্রিকেটারদের পাওয়াটাই অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছে।