ওয়েব ডেস্ক: ভারতের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগে হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে (YouTuber Jyoti Malhotra) গ্রেফতার করা হয়েছে। জ্যোতি মালহোত্রাকে নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। সূত্রের খবর, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জ্যোতি পহলেগাঁও গিয়েছিলেন। তার তিনমাস পরেই এই নৃশংস জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ। সূত্রের খবর, জ্যোতির সেই পহেলগাঁও ভ্রমনই এখন গোয়ান্দাদের আতসকাচের তলায়। তদন্তকারীরা মনে করছেন, পহেলগাঁও থেকে ঘুরে আসার পর সেখানকার একাধিক তথ্য পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI-কে পাচার করেছিলেন জ্যোতি।
৩৩ বছর বয়সি জ্যোতিকে শুক্রবার হরিয়ানার নিউ অগ্রসেইন এক্সটেনশন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার আদালতে পেশের পর পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ২২ এপ্রিল পাহালগামে জঙ্গি হামলার পর গোটা দেশ ক্ষোভের আগুনে জ্বলছিল। ভারতের অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) পাকিস্তানের ৯ জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা। এরপরই ভারত-পাকিস্তানের চার দিনের সীমান্ত সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ চলাকালীন পাকিস্তানি হাই কমিশনে নিযুক্ত এক পাকিস্তানি গোয়েন্দা আধিকারিকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল জ্যোতির।
আরও পড়ুন: স্বর্ণমন্দির নিশানা করেছিল পাকিস্তান! বাঁচাল ভারতীয় সেনা
সূত্রের খবর, একাধিকবার কলকাতায় এসেছিলেন জ্যোতিরানি মালহোত্রা। শুধুমাত্র কলকাতাতেই নয়, উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে নদিয়ার সীমান্তে সহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলেন জ্যোতি। উত্তরবঙ্গের চিকেনস নেক অঞ্চল, অসম সীমান্তের জয়গাঁ, করোনেশন ব্রিজেও গিয়েছিল জ্যোতি। সফরের সময় তাঁর সঙ্গী ছিলেন বাংলার ট্রাভেল ব্লগার সৌমিত ভট্টাচার্য। আদতে তিনি আসানসোলের বাসিন্দা। এবার জ্যোতির সঙ্গে বাংলার এক ভ্লগারের ঘোরাফেরা, ভিডিও করা ছবি প্রকাশ পেয়েছে। ইউটিউবার কমিউনিটি থেকে জ্যোতির সঙ্গে আলাপ বাংলার ব্লগার সৌমিত ভট্টাচার্য। অযোধ্যার রাম মন্দির থেকেই পরিচয় জ্যোতি সঙ্গে। কলকাতায় এসে জ্যোতিকে ব্যারাকপুর নিয়ে গিয়েছিল এই বঙ্গ ইউটিউবার। ব্যারাকপুরে একসঙ্গে বিরিয়ানি খায় জ্যোতি এবং এই বঙ্গ ইউটিউবার। জ্যোতির গ্রেফতারের খবর শুনে স্তম্ভিত এই বঙ্গ ইউটিউবার। দেশের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য ডাকলে প্রস্তুত জানালেন এই বঙ্গ ইউটিউবার।
গত ১৭ মে হরিয়ানা পুলিশ ইউটিউব ট্রাভেল ভ্লগার জ্যোতিকে গ্রেফতার করেছিল। অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালাকালীন ISI-কে একাধিক তথ্য পাচার করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালাকালীন ISI-কে একাধিক তথ্য পাচার করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জ্যোতি পহলেগাঁও গিয়েছিলেন। জ্যোতির সেই পহেলগাম ভ্রমণই আতসকাচের তলায় তদন্তকারীদের। তদন্তকারীরা মনে করছেন, পহেলগাঁও থেকে ঘুরে আসার পর সেখানকার একাধিক তথ্য পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI-কে পাচার করেছিলেন জ্যোতি।পুলিশ সুপার বলেন, ‘জ্যোতি হাতে আসেনি সেনা বা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনও গোপন তথ্য। তবে সে পাকিস্তানি ইন্টেলিজেন্স অফিসারদের (PIOs) সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছিল। তাকে যে একটি অ্যাসেট হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছিল, তা স্পষ্ট।’গোয়ান্দারা মনে করছেন, ভ্রমণগুলির পিছনে অন্য মতলব ছিল জ্যোতির। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গার একাধিক তথ্য তিনি পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI- কে পাচার করেছিলেন।
অন্য খবর দেখুন